জে পি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
চলতি মাসেই দলের জাতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব শেষ হচ্ছে জেপি নড্ডার। বিজেপি সূত্রের মতে, সামনেই চার রাজ্যে নির্বাচন। তাই নতুন বিজেপি সভাপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কয়েক মাস অস্থায়ী ভাবে নড্ডার মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবছে দল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে খুব দ্রুত সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডাকতে চলেছে বিজেপি।
স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নড্ডাকে। বিজেপির এক নেতার কথায়, আগামী মাস থেকে বিভিন্ন রাজ্যে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যা শেষ হওয়ার পরেই পরর্বতী বিজেপি সভাপতিকে বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু এতে অন্তত তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। দলের সমস্যা হল, চলতি বছরে চারটি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। তাই পরবর্তী সভাপতি বেছে না নেওয়া পর্যন্ত নড্ডার মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভেবেছে দল।
পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে জল্পনা প্রবল। বিজেপির উপর যে আরএসএস নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ, তা ফলপ্রকাশের পরে সঙ্ঘ পরিবারের নেতাদের মুখ খোলা থেকেই স্পষ্ট। তাই বিজেপি নেতৃত্ব জাতীয় সভাপতি হিসেবে এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে চাইছেন, যাঁর সঙ্গে আরএসএস নেতৃত্বের সুসম্পর্ক রয়েছে। সূত্রের মতে, নড্ডার মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি দলের দুই নেতাকে কার্যকরী সভাপতি করার কথা ভাবা হয়েছে। এঁরা হলেন সুনীল বনশল ও বিনোদ তাউড়ে। দু’জনই সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। বিজেপির একটি অংশের মতে, এঁদের মধ্যে এক জনকে সম্ভবত সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে। দৌড়ে অবশ্য নাম রয়েছে অনুরাগ ঠাকুরেরও।