Sedition Act

সাজা বাড়িয়ে দেশদ্রোহ বহালের সুপারিশ

আইন কমিশনের এই সুপারিশের পরেই তীব্র সমালোচনা করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস জানিয়েছে, এর ফলে সমস্যা বাড়বে। প্রতিবাদ-আন্দোলন দমনের নামে এই আইনকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ০৭:৫৯
Share:

প্রতিবাদ-আন্দোলন দমনের নামে এই আইনকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ফাইল চিত্র।

ব্রিটিশ আমলে বিপ্লবীদের দমন করার লক্ষ্যে তৈরি হওয়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় দেশদ্রোহ আইনকে বহাল রাখার প্রস্তাবই দিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গঠিত আইন কমিশন। কর্নাটক হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্তির নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের সুপারিশে জানিয়েছে, ঔপনিবেশিক যুগের আইন বলেই দেশদ্রোহ আইনকে বাতিল করার যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিটিশ আমলের এই আইন অবশ্যই বলবৎ করা উচিত। তবে তার একাধিক ধারায় সংশোধন করতে হবে এবং কোন ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর করা যায়, তা স্পষ্ট করা দরকার। দেশের সংহতির স্বার্থে এবং মৌলবাদকে মোকাবিলা করতে এই আইনের প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেছে কমিশন। বর্তমানে এই আইনে যাবজ্জীবন অথবা ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আইন কমিশন এই তিন বছরের সাজাকে বাড়িয়ে ৭ বছর করার কথা বলেছে।

Advertisement

আইন কমিশনের এই সুপারিশের পরেই তীব্র সমালোচনা করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস জানিয়েছে, এর ফলে সমস্যা বাড়বে। প্রতিবাদ-আন্দোলন দমনের নামে এই আইনকে ব্যাপক হারে ব্যবহার করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী পাকিস্তানে ব্রিটিশ আমলের এই আইন বাতিলের বিষয়টিকে তুলে বিজেপি সরকারকে আক্রমণও করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা।

ভারতীয় দণ্ডবিধিতে রাষ্ট্রদ্রোহ বিষয়ে একাধিক ধারার উল্লেখ থাকলেও ১২৪এ ধারাটি নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক রয়েছে। সমালোচকদের দাবি, ব্রিটিশ আমলের এই আইন ভারতীয় সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার অধিকারের বিরোধী। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলেই ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই আইনকে কাজে লাগিয়ে ৩৫৬টি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নথিভুক্ত হয়। তাতে ৫৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মাত্র ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট গত বছর মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই আইনটি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়ে জানায়, যত দিন না পর্যালোচনা শেষ হচ্ছে, তত দিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও মামলা নথিভুক্ত করা উচিত নয়। এমনকি যাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ওই আইনে মামলা করা হয়েছে, তাঁরাও জামিনের আবেদন করতে পারবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement