Yogi Adityanath

অটুটই রইল যোগীর গড়

সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একটি আসন পেয়েছে এসপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪৩
Share:

যোগী আদিত্যনাথ। ছবি পিটিআই।

বাইশের বিধানসভা ভোটের আগের সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর লিটমাস পরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা। আজ গণনা শেষে বিজেপি শিবিরের দাবি, রাজ্যে শক্তি অটুট রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের। সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একটি আসন পেয়েছে এসপি।

Advertisement

মাস দেড়েক আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের পর দৃশ্যতই চাঙ্গা দেখিয়েছিল বিরোধী শিবিরকে। বিশেষ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা দু’জনকেই সক্রিয় ভাবে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল সে সময়। সঙ্গে দলের নেতা কর্তাদেরও। তার আগে সিএএ-র প্রতিবাদ করে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা, প্রশাসন এবং পুলিশের বাধা টপকে। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা গেল, যোগীর গড়ে সে ভাবে আঁচড় কাটতে পারলেন না বিরোধীরা।

যে ছ’টি আসনে বিজেপি জিতেছে তার মধ্যে রয়েছে বাঙ্গারমাউ। এটি উন্নাও জেলায়, যেখানে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশের বিরোধী রাজনীতি। এ ছাড়া বিজেপি জিতেছে বুলন্দশহর, তুন্ডলা, দেওড়িয়ার মতো আসনে। এসপি পেয়েছে মালহানি আসনটি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ছ’টি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন ১৫ থেকে ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। এসপির জয় এসেছে ৫ হাজারেরও কম ব্যবধানে। দুটি আসনে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের মতে, অন্যতম বিরোধী, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী গোড়া থেকেই বিজেপির হাতে তামাক খাচ্ছেন। নিজেদের জেতার সম্ভাবনা না-থাকা সত্ত্বেও সাতটি আসনেই প্রার্থী দিয়ে তিনি কার্যত বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছেন। বিজেপির জয়ের ব্যবধান এতটা বাড়ার কারণ, বিএসপির বিরোধী ভোট ভাগ করে দেওয়া।

মায়াবতীর পরিবারের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার খাঁড়া ঝোলার বিষয়টি শুরু হওয়ার পর থেকেই সংসদের ভিতরে ও বাইরে মোদী অমিত শাহ সম্পর্কে নরম পন্থা নিয়ে চলছেন তিনি। কিন্তু বাকি দুই প্রতিপক্ষ এসপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে সম্প্রতি কিছুটা গা ছাড়া ভাব দেখা গিয়েছে। একটিও জনসভা করেননি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। অধিকাংশ সময়টাই এসপি নেতা অখিলেশও ছিলেন দেশের বাইরে। হাথরসের ঘটনার অনেক পরে তিনি ফেরেন। তাঁকেও বড় ভাবে ভোটের আসরে নামতে দেখা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement