—প্রতীকী ছবি।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে অসম অ্যাপেক্স ব্যাঙ্ক থেকে ২০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজেশ বজাজের বিরুদ্ধে। ৬৭টি শাখা, ৩৪৭৪ কোটি জমা টাকা ও ১৪৩৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া ওই ব্যাঙ্কের বর্তমান চেয়ারম্যান সরুপথারের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ ফুকন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নিজেই ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরিচিত ও বিশ্বজিৎ ফুকনের বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর নাম সারদা কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়েছিল। কিন্তু বিজেপির ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই ব্যবসায়ী কোনও সমস্যায় পড়েননি।
চা বাগান, সরকারি ঠিকা ও যোগানের ব্যবসা করা রাজেশের কোম্পানি এ বছর এপ্রিলে এ্যাপেক্স ব্যাঙ্ক থেকে ২০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ডিমান্ড বিল পারচেজ়ের মাধ্যমে তুলে নেয়। এক ব্যাঙ্কে টাকা জমা থাকলে সেই ব্যাঙ্কের চেক অন্য ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে টাকা তোলার পদ্ধতিকে ডিমান্ড বিল পারচেজ় বলে। কিন্তু অভিযোগ, রাজেশ যে ব্যাঙ্কের চেক
দিয়েছিলেন, সেখানে আদৌ টাকা রয়েছে কি না, সেই ক্লিয়ারেন্স না করেই তাঁকে
টাকা দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া ও অসম জাতীয় পরিষদের দাবি,
সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ডিমান্ড বিল পারচেজ়ের মাধ্যমে লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে কী ভাবে অ্যাপেক্স ব্যাঙ্ক রাজেশকে টাকা দিল। কেন মুখ্যমন্ত্রী এখনও উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেননি? ফুকন মেনে নেন, রাজেশ অন্যায় করেছেন। তিনি জানান, ব্রাঞ্চের ম্যানেজার বিকাশ রঞ্জন দাসকে ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বজাজ অবশ্য টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে স্পষ্ট জানান, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। একটি ব্যবসার লেনদেনের জন্যই টাকা তুলেছেন।