Mahua Moitra

সোমনাথ দেননি, তাই মহুয়াকেও বলতে দেওয়া হল না, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন না মৈত্র

এথিক্স কমিটির রিপোর্ট সংক্রান্ত আলোচনায় অভিযুক্ত মহুয়া মৈত্র যাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন, সে জন্য লোকসভায় সরব হয়েছিল প্রায় সব বিপক্ষ দলই। কিন্তু অতীতের নজির দেখিয়ে সেই দাবি খারিজ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৭
Share:

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

এথিক্স কমিটির রিপোর্ট সংক্রান্ত আলোচনায় অভিযুক্ত মহুয়া মৈত্র যাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন, সে জন্য আজ লোকসভায় সরব হয়েছিল প্রায় সব বিপক্ষ দলই। কিন্তু অতীতের নজির দেখিয়ে আজ সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। শাসক শিবিরের যুক্তি, ২০০৫ সালে লোকসভার ১০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল। সে সময়ে তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করে, তার ভিত্তিতে তাঁদের লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৎকালীন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের বলতে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আজ বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, তাঁরাও অতীতে নেওয়া স্পিকারের আদেশকেই মেনে চলেছেন। তাই মহুয়ার মুখ খোলার সম্ভাবনাই নেই।

Advertisement

আজ থেকে ১৮ বছর আগের এক শীতকালীন অধিবেশনে (১২ ডিসেম্বর,২০০৫) লোকসভার ১০ জন সাংসদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ সামনে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে স্টিং অপারেশন চালিয়েছিল একটি সংবাদমাধ্যম, যা টিভিতে সম্প্রচার হওয়ার পরে সে দিনই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তদন্ত কমিটির মাথায় রাখা হয় কংগ্রেস নেতা পবন বনশলকে।

সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে কার্যত ১১ দিনের মাথায় ২৩ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট লোকসভায় জমা দেন বনশল, যার ভিত্তিতে ওই সাংসদদের সংসদ থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাব আনেন লোকসভার নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়। তা ধ্বনিভোটে পাশ হয়। সে সময়ে দশ অভিযুক্ত যাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন, লোকসভায় সেই দাবি ওঠে। স্পিকার ওম বিড়লার দাবি, সেই সময়ে ওই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। তিনি দাবি করেন, মহুয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সেই পথ অনুসরণ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement