পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন সিধুর। এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক।
মণিশঙ্কর আইয়ারের শাস্তি রদ থেকে পাক সেনাপ্রধানকে নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর আলিঙ্গন— অটলের শোকের মধ্যেই কংগ্রেসকে বিঁধতে আসরে নামল বিজেপি। এমনকি সিধুর আলিঙ্গন নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন তাঁরই নেতা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহও।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে এক সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। এমনই এক সময়ে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশে মণিশঙ্কর আইয়ারের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিলেন রাহুল গাঁধী। গত ডিসেম্বরে গুজরাতে ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যিনি ‘নীচ কিসম কা আদমি’ বলেছিলেন। আর ভোটের আসরে তার ভরপুর ফায়দা তুলেছিলেন মোদী। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘আইয়ারের শাস্তি প্রত্যাহার করা মানে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তিকে প্রশ্রয় দিলেন রাহুল গাঁধী। এ শুধু নরেন্দ্র মোদী নন, গোটা পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে অপমান। ন’মাসে অন্ধকার গর্ভে থাকার পর আবার মণি ফিরে এল কংগ্রেসে।’’
একই সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে মণিশঙ্কর সরকারি নীতির যে সমালোচনা করেছিলেন, সে প্রসঙ্গও টেনে আনে বিজেপি। তার সঙ্গে ওঠে পঞ্জাবে কংগ্রেসের মন্ত্রী সিধুর পাক সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গনের প্রসঙ্গও। সিধুর এই আচরণ নিয়ে অবশ্য শুধু বিজেপি নয়, পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহও আজ সমালোচনা করেন সিধুর। তাঁর কথায়, ইমরান খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কারণে সিধু গিয়েছেন পাকিস্তানে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশে বসেছিলেন, হয়ত তিনি জানতেন না। কিন্তু এ দেশের জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন, পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করাটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
মণিশঙ্করের বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে আজ প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য জানান, ৩-৪ সপ্তাহ আগেই স্পষ্ট হয়েছে, গুজরাত ভোটের সময় বিজেপির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যে গোপন বৈঠকের অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সত্য নয়। তার ভিত্তিতেই হয়তো কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি মণিশঙ্করের শাস্তি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন। আর রাহুল গাঁধীও তা মেনে নিয়েছেন।