মা ডিম্পল সাহু ও বাবার সঙ্গে পুলিশের উর্দিধারী ছোট্ট সানিয়া।<br> থানার পথে যাওয়ার সময় এগিয়ে এলেন এলাকার বাসিন্দারাও।
জন্মদিনে বাবার কাছে একটাই উপহার চেয়েছিল ছোট্ট সানিয়া। ১১ বছরের সানিয়া সাহুর বহু দিনের ইচ্ছে পুলিশ হওয়ার। তাই বাবা জানতে চাইলে পুলিশের একটা উর্দি পরার আবদার করেছিল সে।
ছত্তীসগঢ়ের রাইপুরের বাসিন্দা সানিয়া আর পাঁচটা বাচ্চার থেকে একটু ‘আলাদা’। ছোটবেলা থেকেই সে দৃষ্টিহীন। বাইরের আলো এসে পৌঁছয় না তার চোখে। সেই সঙ্গে জন্মের পর থেকে ভুগছে কিডনির অসুখে। নিয়মিত ডায়ালিসিস করিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয় সানিয়াকে।
আরও পড়ুন
১০০ বছর পর দিন বদলাল মকর সংক্রান্তির
মেয়ের আবদার শুনে তড়িঘড়ি দোকানে দৌ়ড়ে যান সানিয়ার বাবা ভীমলাল সাহু। কিন্তু, আতিপাতি করে খুঁজেও কোনও দোকানে মেলেন পুলিশের উর্দি। শেষমেশ একটি দোকানে তার খোঁজ মিললেও দেখা দিল অন্য সমস্যা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া পুলিশের উর্দি বিক্রি করতে কিছুতেই রাজি নন ওই দোকানি। অতএব উপায়? তবে কি মেয়ের জন্মদিনে তার ইচ্ছেপূরণ করতে পারবেন না তিনি। মেয়ের মুখটা ভেসে উঠতেই ভীমলাল ঠিক করেন, যে ভাবেই হোক সানিয়ার জন্য পুলিশের উর্দি জোগাড় করে দেবেন। ভীমলাল যোগাযোগ করেন রাইপুর পুলিশের দফতরে। সানিয়ার কাহিনি শুনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তাঁদের উদ্যোগেই গত ১৪ জানুয়ারি সানিয়ার জন্মদিনের আগেই তার ইচ্ছেপূরণ হল। এক দিনের জন্য হলেও ‘পুলিশ’ হল ছোট্ট সানিয়া। গ্যালারিতে ধরা পড়ল সেই কাহিনির কয়েকটি টুকরো মুহূর্ত।
ছবি: ফেসবুক।
আরও পড়ুন
ট্যাবলেট, ল্যাপটপে পড়ার অভ্যাস কেড়ে নিচ্ছে সৃজনশীল চিন্তার ক্ষমতা