ফাইল চিত্র।
পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের আয় বাড়াতে এ বারে জমি বিক্রির পথে হাঁটছে ওড়িশার বিজেডি সরকার। সে জমির পরিমাণ ৩৫ হাজার একরেরও বেশি! বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্যই জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রতাপ জেনা। বিষয়টি জানাজানি হতেই তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে বিরোধীদের একাংশ। জমি বিক্রি ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন অনেকে। তার পরেই বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জমি বিক্রির খবর মিথ্যা। ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক এবং ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ওড়িশায় জগন্নাথ দেব ও জগন্নাথ মন্দিরের নামে বিপুল ভূসম্পত্তি রয়েছে। সেই সব জমি থেকে আয় এবং ভক্তদের অনুদানেই পরিচালিত হয় মন্দিরের কাজকর্ম। এ বারে মন্দিরের আয় বাড়াতে জগন্নাথ দেবের নামে ওড়িশা এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ জমি উদ্ধার করে তা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবীন পট্টনায়কের সরকার। বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী প্রতাপ জেনা জানিয়েছিলেন ওড়িশায় জগন্নাথ দেবের নামে ৬০ হাজার ৪২৬ একরেরও বেশি জমি রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ হাজার ৮৭৬ একরের কিছু বেশি জমি সরকার উদ্ধার করেছে। সরকারের ‘সমান নীতি’ অনুসরণ করেই সব মিলিয়ে ৩৫,২৭২ একর জমি বিক্রির জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ওই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, কটকে ভারতী মঠে একটি বাড়ি, বিভিন্ন জেলায় জগন্নাথ দেবের নামে থাকা ৩১৫.৩৩৭ একর জমি ইতিমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে। এ বাবদ ১১.২০ কোটি টাকা মন্দিরের তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৬ রাজ্যে জগন্নাথ দেবের নামে থাকা প্রায় ৩৯৫.২৫২ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় ৩২২ একরের বেশি জমি রয়েছে। জমি রয়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং বিহারেও। সেই সব জমি বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথের নামে থাকা জমি জবরদখল করে আছেন, তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে জমির অধিকার দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।