মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। —ফাইল চিত্র
শপথ নিয়ে প্রথম সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন কৃষিঋণ মকুব। কমল নাথের নজর এবার শিল্পে। তবে সেটা করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন মধ্যপ্রদেশের সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ উঠল প্রাদেশিক বিদ্বেষ ছড়ানোর। মধ্যপ্রদেশের ভূমিপুত্রদের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত করছেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে আসা লোকজন— কমল নাথের এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ-বিহারের মানুষের কাছে কমল নাথকে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি বিজেপির।
সোমবারই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন কমল নাথ। ভোটের আগের প্রতিশ্রুতি মতো দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শপথের দিনই। কংগ্রেসের আরও প্রতিশ্রুতি ছিল, মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। এই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার কমল নাথ বলেন, বস্ত্রশিল্পের জন্যে একটি পার্ক তৈরি করা হবে, যেখানে কাজ পাবেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দারাই।
এই প্রসঙ্গেই এদিন কমল নাথ বলেন, ‘‘এখানে অনেক শিল্প আছে, যেখানে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বাসিন্দারা এসে কাজ করছেন। আমি তাদের সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু তাতে মধ্যপ্রদেশের যুবক-যুবতীরা চাকরিতে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ঘোষণা করেন, যে সব শিল্পে ৭০ শতাংশ মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দার চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাদের সরকার ইনসেনটিভ দেবে।
আরও পড়ুন: বছরে তৃণমূলের আয় মাত্র ৫ কোটি! সিপিএমের চেয়েও গরিব মমতার দল, শীর্ষে বিজেপি
কমল নাথের এই মন্তব্য ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিহারের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী গিরিরাজ কিশোর বলেন, এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন কমল নাথ, তা তাঁকে ব্যাখ্যা করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘বিহারবাসীরা যেখানেই যান, সেই রাজ্যের উন্নতির জন্য কাজ করেন। এর জন্য রাহুল গাঁধীর উচিত, উত্তরপ্রদেশ-বিহারের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। না হলে আম জনতা তাঁকে উচিত শিক্ষা দেবে।’’
আরও পডু়ন: ৯৯ শতাংশ পণ্যকেই আনা হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায়, ইঙ্গিত মোদীর
১৫ বছরের বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরের দিনই বিতর্কে জড়ালেন কমল নাথ।