জেএনইউয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল বিহারের রাজনীতি। এক দিকে বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় কমিটি তৈরি করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দলীয় মুখপাত্র নীরজ কুমারকে কানহাইয়ার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। বিহারের বাসিন্দা কানহাইয়ার সমর্থনে দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে এগিয়ে এসেছেন পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহ।
এ দিন দিল্লি পুলিশের এক বিশেষ দল কানহাইয়ার বেগুসরাইয়ের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। তবে জেলা পুলিশ বা তদন্তকারী দলের সদস্যেরা এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এক আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাল মুঙ্গেরের আদালত কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে। এ দিন সেই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে।
তবে রাজ্যের অন্যতম শাসক দলের নেতা লালুপ্রসাদ বলেন, ‘‘অকারণে নির্দোষকে গ্রেফতার করা উচিত নয়। তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার এ দিন বেগুসরাইয়ের গ্রামে কানহাইয়া কুমারের বাড়ি যান। ওই গ্রামেই সভা করে জেডিইউ।
কানহাইয়াকে ঘিরে বিভাজন বিহার বিজেপিতেও। সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহ কানহাইয়ার গ্রেফতারিকে অন্যায় বলেছেন। বিহার বিজেপি সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে অবশ্য বলেন, ‘‘দলীয় সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত শত্রুঘ্ন সিংহের।’’
ইস্তফা দিলেন ৩
এবিভিপি নেতা
নয়াদিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: বিজেপিকে বিপাকে ফেলে ইস্তফা দিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছাত্র শাখার তিন নেতা। এবিভিপি-র এই তিন নেতা অভিযোগ করেছেন, দল ও কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে জেএনইউ কাণ্ড মোকাবিলা করছেন, তা ‘অন্যায় ও অনৈতিক’। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাহুল যাদব, সম্পাদক অঙ্কিত হন্স এবং সংযুক্ত সম্পাদক প্রদীপ বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত-বিরোধী স্লোগান তোলার বিষয়টি আইনি ভাবে মোকাবিলা হতে
পারে। কিন্তু যে ভাবে ছাত্রদের ওপর বিজেপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা
হামলা চালিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। আদালত চত্বরে ছাত্রদের মারধরে অভিযুক্ত বিধায়ক ও পি শর্মার শাস্তিও চেয়েছেন তাঁরা। বিবৃতিতে ছাত্ররা বলেছেন, ‘জাতীয়তাবাদের অর্থ গুন্ডামি হতে পারে না।’ জেএনইউ বন্ধ করার দাবিরও বিরোধিতা করেছেন ছাত্রনেতারা।