গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আজ থেকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। আর প্রথম দিনেই চিনকে কড়া জবাব দিল ভারত। বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং ভারতের এই সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। আজ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার চিনকে নিশানা করে পাল্টা বলেন, ‘‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কেউ নাক গলাক, এটা ভারত কখনও চায় না।’’
৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার দিনই সংসদে পেশ হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর বিভাজন বিল। পরের দিন সেই বিল পাশও হয়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ৩১ অক্টোবর থেকে সরকারি ভাবে আলাদা যাত্রা শুরু করবে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
কিন্তু এ নিয়ে আগেও আপত্তি তুলেছে চিন। পাকিস্তানের সব পরিবেশের বন্ধু বেজিং মানতে চায় না, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আবার ভারত-চিন সীমান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলে আসছে বরাবর। সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পরে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বেজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভারত সরকারি ভাবে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে যে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে চিনের কিছু অংশ পড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, চিন দৃঢ় ভাবে এর প্রতিবাদ করছে। এটা বেআইনি এবং এটা কোনও ভাবেই কার্যকরী হবে না। এটা বদল করতে পারবে না যে এর কিছু অংশ চিনের নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে।’’
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে ইজরায়েলের সংস্থা! জানাল জাকারবার্গের সংস্থা
আরও পড়ুন: অপারেশন বাগদাদির ভিডিয়ো প্রকাশ পেন্টাগনের, আংশিক ক্লিপিংস ঘিরে প্রশ্ন
নয়াদিল্লি অবশ্য বরাবরই বেজিংয়ের এই দাবিকে আমল দেয়নি। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ দিন রবীশ কুমার স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, ‘‘চিন হোক বা অন্য কোনও দেশ, আমরা কখনওই চাই না, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলুক। ভারত যেমন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে যায় না।’