দিল্লি থেকে বিমানে শ্রীনগর রওনা হওয়ার আগে। শনিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি বুঝতে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস-সহ ৯টি বিরোধী দলের ১১ জন নেতা শনিবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে শ্রীনগর রওনা হয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য, সেখানকার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনীতিকদের সঙ্গে দেখা করা ও কথা বলা। তবে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামার পর তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্টই সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, শ্রীনগরের উদ্দেশে বিরোধী নেতাদের রওনা হওয়ার খবর পেয়েই জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর একটি টুইট করেছে। তাতে ‘শ্রীনগর পরিদর্শন করে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় না ফেলা’র অনুরোধ জানানো হয়েছে বিরোধী নেতাদের কাছে।
বিরোধীদের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, এনসিপি, টিএমসি, ডিএমকের নেতারা। রাহুলের সঙ্গে রয়েছেন দুই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মাও।
এ দিন জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের তরফে করা টুইটে বলা হয়েছে, ‘‘বিচক্ষণ রাজনীতিকদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে এলাকায় ধীরে ধীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রয়াস বিঘ্নিত হয়। তাই রাজনীতিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন শ্রীনগরে ঢুকে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় না ফেলে দেন।’’
সপ্তাহখানেক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল বিমান পাঠিয়ে রাহুলকে শ্রীনগরে নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার জবাবে রাহুল জানিয়েছিলেন, বিমান পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তিনি ও অন্য বিরোধী নেতারা কাশ্মীরে যাবেন। তাঁদের যেন শ্রীনগরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
তারই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, ‘‘আমরা যথেষ্টই দায়িত্বশীল। আমাদের দলগুলিও দায়িত্বশীল। তাঁরা কেউই এমন কিছু করবেন না যাতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। কেন্দ্রীয় সরকার বার বারই বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তা হলে কেন রাজনীতিকদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না?’’
আরও পড়ুন- চাপের কৌশল, রাহুল আজই শ্রীনগর সফরে
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে বিক্ষোভ আটকাল প্রশাসন