—ফাইল চিত্র।
দেশের একেবারে উত্তরে ভূস্বর্গে চলছে ঐতিহাসিক পালাবদলের পালা। আর নানা ভাবে তার ধাক্কা লাগছে দেশের সর্বপ্রান্তে। পাঠ্যক্রম থেকে বিমান পরিবহণ— ধাক্কা সব কিছুতেই।
জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনীর যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। তাই সোমবার দুপুরের পরে বেশ কিছু যাত্রিবাহী বিমান সময়মতো দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই পারেনি। এর ফলে বিপাকে পড়েন মূলত সেই সব যাত্রী, দেশের বিভিন্ন শহর থেকে দিল্লি উড়ে গিয়ে যাঁদের নানান আন্তর্জাতিক উড়ান ধরার ছিল। তবে যাত্রীদের কথা ভেবে সন্ধ্যায় এয়ার ইন্ডিয়া তাদের লন্ডন উড়ান প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে দিল্লি থেকে ছেড়েছে।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু সেনাবাহিনীর যাতায়াতের জন্য নয়, দিল্লি বিমানবন্দরের একটি মাত্র রানওয়ে এ দিন চালু ছিল। সেই জন্য বেশ কিছু বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেড়ে সওয়া ১২টা নাগাদ দিল্লির আকাশে পৌঁছে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ওই বিমানে এমন অনেক যাত্রী ছিলেন, যাঁদের বেলা সওয়া ৩টেয় দিল্লি থেকে লন্ডনের উড়ান ধরার কথা ছিল।
ওই উড়ানের যাত্রী কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দিল্লির আকাশে পৌঁছে পাইলট প্রথম জানান, আমরা নামছি। কিছুটা নামার পরে আবার মুখ ঘুরিয়ে উপরে উঠে এক ঘণ্টা চক্কর কাটে। শেষে পাইলট জানান, উড়ানের জ্বালানি কমে আসায় আমরা অমৃতসর বিমানবন্দরে যাচ্ছি।’’ সাধারণত দিল্লিতে নামতে না-পারলে বিমান জয়পুর ও চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে গিয়ে নামে। কিন্তু এ দিন ওই দুই বিমানবন্দরেও নামার অনুমতি পায়নি বহু বিমান। অমৃতসরে নেমে জ্বালানি ভরে ফের দিল্লি পৌঁছতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ৫টা বেজে যায়।