বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে। —ফাইল চিত্র
আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এল বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে। গত ১ মার্চ এই ক্যাফেতে ঢুকেই বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। তবে এ বার সেই সব কারণে নয়, প্রস্রাবকাণ্ডের জেরে ফের চর্চা হচ্ছে ওই ক্যাফে নিয়ে।
ওই ক্যাফের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন। এক নেটাগরিক সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। একই সঙ্গে ক্যাফে কর্তৃপক্ষকে খোঁচা দিয়ে ওই ব্যক্তি লেখেন, “আপনাদের কর্মী রেস্তরাঁর কাছেই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছে। আপনারা কি কর্মীদের জন্য বিশ্রামকক্ষের বন্দোবস্ত রাখেন না? আমি সত্যিই জানি না, তাদের কেউ হাত ধোয় কি না।” ওই পোস্ট ট্যাগ করা হয়েছে রামেশ্বরম ক্যাফে এবং বেঙ্গালুরু পুরনিগম (বিবিএমপি)-কেও।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেন পুর কর্তৃপক্ষ। রামেশ্বরম ক্যাফে কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে এই বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়। প্রশ্ন করা হয়, কর্মীদের জন্য ক্যাফেতে শৌচাগার রাখা হয়েছে কি না। এই বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাফে কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কর্নাটক পুর আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের শক্তি খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি দাবি করে, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফ। ২৭ দিন পর সেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণে দুই অভিযুক্ত মুসাফির হুসেন শাজ়িব এবং আবদুল মাতিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।