National News

২০২৫-এর পর আর থাকা যাবে না বেঙ্গালুরুতে!

উদ্যাননগরী বেঙ্গালুরু কি তার জৌলুস হারাচ্ছে? দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় তথাকথিত ভাবে বেশি সবুজ বলে গর্বের অন্ত ছিল না বেঙ্গালুরুবাসীদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ১৬:০২
Share:

আবাসনের বর্জ্য পদার্থে এ ভাবেই দূষিত হচ্ছে বেঙ্গালুরু। ছবি: সংগৃহীত।

উদ্যাননগরী বেঙ্গালুরু কি তার জৌলুস হারাচ্ছে?

Advertisement

দেশের অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় তথাকথিত ভাবে বেশি সবুজ বলে গর্বের অন্ত ছিল না বেঙ্গালুরুবাসীদের। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের রমরমার কারণে জীবিকার খোঁজে এ শহরে পা রাখছেন অন্য শহরের বহু বাসিন্দা। শহর জুড়ে অসংখ্য হৃদ, গাছপালা। ফলে বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব নেই।

কিন্তু, ছবিটা দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে। শহরের বড় বড় লেকে নিয়মিত ভাবে আগুন ধরে যাচ্ছে। এ সবই হচ্ছে দূষণের কারণে। রাস্তায় যত্রতত্র জমা হচ্ছে আবর্জনার স্তূপ। আর সে কারণেই প্রশ্নটা উঠছে শুরু করেছে! আর থাকা যাবে তো? কারণ, দূষণে জর্জরিত হয়ে ক্রমশই ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে এ শহর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ রকম চলতে থাকলে ২০২৫-এর মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে বেঙ্গালুরু।

Advertisement

কিন্ত, কেন এমন হল?

বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দশক জুড়েই এ শহরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসন। নগরায়নের ফলে সমঝোতা হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনার। শহরের বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক গাফিলতির ফলে দূষণ বাড়ছে।

আগুনের গ্রাসে বেলান্দুর লেক। ছবি: সংগৃহীত।

কয়েক মাসের ব্যবধানে শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেলান্দুর লেকে আগুন ধরে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য এসে জমা হচ্ছে এই হৃদে। প্রতি দিন প্রায় ৩-৫ হাজার টন বর্জ্য জমা হচ্ছে এতে। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তাতে আগুন ধরে যায়। এক সময় এ শহরে ২৮৫টি হৃদ। কমতে কমতে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৯৪-এ। এমনটা চলতে থাকলে ২০২৫-এর মধ্যে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে বেঙ্গালুরু।

দূষণ রোধে প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। মুম্বইয়ে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে যেখানে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ রয়েছে, সেখানে বেঙ্গালুরু প্রশাসনের বরাদ্দ মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement