M.L. Nijalingappa

রাষ্ট্রপতির কনভয় আটকে দিলেন এই সাব ইনস্পেক্টর!

১৭ জুন, শনিবার ট্রিনিটি সার্কেল হয়ে রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। সেই মতো আগেভাগেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। যান নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ১৯:১০
Share:

সাব ইনস্পেক্টর এম এল নিজলিঙ্গাপ্পা।

মন্ত্রীর গাড়ি থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এক পুলিশকর্মী। বিজ্ঞাপনে এমন দৃশ্যে দেখা গেলেও বাস্তবে এমনটা করে দেখানো যে সত্যিই খুব মুশকিল তা মানছেন পুলিশকর্তারাও। কিন্তু মুশকিল হলেও তা যে অসম্ভব নয়, তা প্রমাণ করে দেখালেন বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক সাব ইনস্পেক্টর এম এল নিজলিঙ্গাপ্পা।

Advertisement

তবে এই অফিসার নিছক কোনও ভিআইপি-র গাড়ি আটকাননি, অ্যাম্বুল্যান্সকে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে তিনি থামিয়ে দিয়েছেন খোদ দেশের রাষ্ট্রপতির কনভয়!

বেঙ্গালুরু পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ জুন, শনিবার ট্রিনিটি সার্কেল হয়ে রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। সেই মতো আগেভাগেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। যান নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়। সে দিন ট্রিনিটি সার্কেলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন সাব ইনস্পেক্টর এম এল নিজলিঙ্গাপ্পা। বিকেল ৪টে ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি লক্ষ্য করেন, এই ট্র্যাফিক ব্যারিকেডের ফলে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়েছে। এ দিকে রাষ্ট্রপতির কনভয় তত ক্ষণে প্রায় পৌঁছে গিয়েছে ট্রিনিটি সার্কেলের কাছে। একটুও দেরি না করে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তার কাছে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আগে ছাড়ার অনুমতি চান। এবং কয়েক মুহূর্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কনভয় থামিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেন অ্যাম্বুল্যান্সটিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুষ নেওয়ার শাস্তি, জেল ঘুরিয়ে সরকারি কর্মীদের বোঝালেন যোগীর আমলা

রবিবার বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার প্রবীন সুদ টুইট করে জানান, এই মানবিক পদক্ষেপের জন্য ওই সাব ইনস্পেক্টরকে পুরস্কৃত করা হবে।

এই ঘটনা সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ‘হিরো’ হয়ে উঠেছেন নিজলিঙ্গাপ্পা। তাঁর এই সাহসী এবং মানবিক পদক্ষেপের জন্য অসংখ্য প্রশংসা আর অভিনন্দন বার্তায় ভরে গিয়েছে টুইটার। এক জন টুইট করে মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লালবাতি প্রসঙ্গে দেওয়া সেই বার্তা, ‘প্রত্যেক ভারতীয়ই ভিআইপি’। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তাই বাস্তবায়িত হল নিজলিঙ্গাপ্পার এই পদক্ষেপে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement