মোবাইলের সঙ্গে আধার জুড়বেন না বলে প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার এ বারে মোবাইল সংযোগ থেকে সরকারি ভাতার মতো সব ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়বে শীর্ষ আদালতে। সোমবার একই বিষয়ের আর একটি মামলার সঙ্গেই রাজ্য সরকারের করা মামলাটির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
সব কিছুতে আধার বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অগস্ট মাসেই এই মামলাটি দায়ের করেছিল। সোমবার বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য শুনবে। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আধার না থাকলে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না দেওয়ার শর্তটিকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।
আধারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। ব্যক্তিপরিসরের অধিকারকে সুপ্রিম কোর্ট মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়ার পরে তার ভিত্তিতে মোবাইলের সঙ্গে আধার জুড়ে দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন আইনজীবী রাজীব টাঙ্খা। সেই মামলায় আর্জি জানানো হয়েছে, টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রক ও মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হোক, তারা যেন আধারই একমাত্র পরিচয়ের প্রমাণ বলে প্রচার করা বন্ধ করে। কারণ, মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি নিয়মিত ভাবে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক বলে জানাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঠিক একই আপত্তি তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতাও।
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গের অস্ত্র কেরোসিন, বরুণের মৃত্যুও
কেন্দ্র অবশ্য জানিয়েছে, সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে হলে আধার নথি জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০১৮-র ৩১ মার্চ করা হবে। মোবাইলের ক্ষেত্রেও আধার ছাড়াও অন্য নথি জমা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আধার কার্ড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করতে রাজি নয় কেন্দ্র। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের আধার সংক্রান্ত নির্দেশিকাই মানতে নারাজ।