আবার ভিডিও, এ বার সুর নরম

প্রথম ভিডিওতে অবশ্য রীতিমত আক্রমণাত্মক চেহারায় দেখা গিয়েছিল চিনকে। ভারতীয় সেনাকে ঠাট্টা করার পাশাপাশি সে বার ভারতবাসীর জাত-ধর্ম-বর্ণ তুলেও কুরুচিকর এবং অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চাপানউতোর ছিলই। মাঝে ‘টক ইন্ডিয়া’ নামে ব্যঙ্গাত্মক একটি ভিডিও পোস্ট করে উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছিল বেজিং। সপ্তাহ খানেকের মাথায় আজ আরও একটা ভিডিও। তবে এ বার সুর বেশ নরম। ‘ভাই-ভাই’ না হোক, ভারত যে চিনের ‘চিরশত্রু’ নয়, ‘টক ইন্ডিয়া’ সিরিজের দ্বিতীয় ভিডিওতে কার্যত সেটাই বোঝাতে চাইল চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে নয়াদিল্লির তরফে সহযোগিতাও চাইল বেজিং।

Advertisement

প্রথম ভিডিওতে অবশ্য রীতিমত আক্রমণাত্মক চেহারায় দেখা গিয়েছিল চিনকে। ভারতীয় সেনাকে ঠাট্টা করার পাশাপাশি সে বার ভারতবাসীর জাত-ধর্ম-বর্ণ তুলেও কুরুচিকর এবং অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছিল।

ডোকলাম থেকে ভারতকে সেনা সরানোর কথা আজকের ভিডিওতেও বলা হয়েছে। তবে তা অনেকটাই সৌজন্যের মোড়কে। ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে উপস্থাপককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘অপ্রীতিকর পদক্ষেপ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বরং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই এখন দু’দেশের পক্ষে মঙ্গল।’’ আর শেষ পাতে গিয়ে সেই সেনা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ। বলা হল, প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ ছেড়ে অবিলম্বে ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া উচিত ভারতের। কিন্তু চিনের তরফে হঠাৎ এই ভোলবদল কেন? ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, ‘‘ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে প্রথম ভিডিওটা আসলে ওদের কাছেই ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছিল। ওদের নেতিবাচক মনোভাবটা পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলির কাছেও। আর এমনিতেও আমেরিকার সঙ্গে চিনের এখনকার সম্পর্ক বিশেষ সুবিধের জায়গায় নেই। বিশেষত উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে। আজকের ভিডিওটা তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করারই একটা চেষ্টা।’’

Advertisement

শিনহুয়ার প্রথম ভিডিও প্রকাশের পরে যখন ব্যাপক শোরগোল ওঠে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কিন্তু একটিও কটু মন্তব্য করেনি। মন্ত্রকের মুখপাত্র শুধু বলেছিলেন, ‘‘কোনও মন্তব্য করে খামোকা এমন একটা ভিডিওর গুরুত্ব বাড়াতে চাই না।’’

অর্থাৎ, ডোকলাম নিয়ে দু’দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধে ভারত যে জমি ছাড়তে নারাজ, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ চিন নিজেই যে হেতু সুর বদলে বাধ্য হল, দিল্লির কাছে সেটাও যথেষ্ট স্বস্তির বলেই মনে করছেন একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement