ছবি: শাটার স্টক।
সব দোষ গিয়ে পড়ে ছিল বাদুড়ের উপর। কিন্তু ভোপালের সরকারি পরীক্ষাগার জানিয়ে দিল, নিপা সংক্রমণে হয়ত কোনও ভাবেই জড়িত নয় বাদুড়।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এর ফলে সংশয় আরও বাড়ল। বাদুড় থেকে যদি নিপা না ছড়িয়ে থাকে, তবে্ তার উত্স কি? এ প্রশ্নের আপাতত কোনও উত্তর মিলছে না। কেরলের কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে নিপা ভাইরাস কেড়ে নিয়ছে অন্তত ১২ জনের প্রাণ। কোঝিকোড়ের পেরামবারা গ্রামে যাঁদের বাড়ি থেকে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে ছিল বলে সন্দেহ, সেই পরিবারের মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই বাড়ির কুয়ো থেকে যে মৃত বাদুড় পাওয়া গিয়েছিল, তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরকমই বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া বাদুড় এবং শুয়োরের দেহের ২১টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভোপালের অ্যানিম্যাল ডিজিজ ল্যাবোরেটরিতে। কিন্তু পরীক্ষায় সেই নমুনার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া নিপা ভাইরাসের তেমন কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যে করে হোক নিপা সংক্রমণ ঠেকাতে কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম, ওয়াইনাড় ও কান্নুর জেলায় পর্যটকদের যেতে নিযেধ করেছে কেরল সরকার। কেরলের গণ্ডি টপকে নিপা ভাইরাস ইতিমধ্যেই কর্নাটক সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে পা রেখেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও।
আরও পড়ু্ন: কাফিলকে এখনই চাইছে না কেরল
আরও পড়ুন: নিপায় জেরবার কেরলের পর্যটন
সাধারণত সংক্রমিত বাদুড় কিংবা শুয়োর থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে নিপা ভাইরাস। কিন্তু ভোপালের পরীক্ষাগারের রিপোর্টে সে রকম কোনও উল্লেখ না থাকায় বিভ্রন্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।