বাসবরাজ বোম্মাই (বাম দিকে) এবং দেবেন্দ্র ফডণবীশ। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক। দুই রাজ্যেই শাসনক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। প্রথমটিতে আছে শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে, দ্বিতীয়টিতে একক ভাবেই। কিন্তু এই দুই রাজ্যের সীমানা বিকর্তে বাক্যুদ্ধে জড়ালেন বিজেপির দুই নেতা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফ়ডণবীস।
কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা সঙ্ঘাত আজকের নয়। মহারাষ্ট্রের কর্নাটক সীমানা লাগোয়া শোলাপুরে একটা বড় অংশের কন্নড়ভাষী বসবাস করেন। আবার ২০১২ সালে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার কিছু পঞ্চায়েত কর্নাটকে যোগ দেওয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস করে বলে শোনা গিয়েছিল। কয়েক দশকের পুরনো এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।
ফডণবীস গত বুধবার এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে জানান, সাম্প্রতিক কালে কর্নাটকের কোনও গ্রামকে নিজেদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়নি মহারাষ্ট্র। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, সীমান্তবর্তী কোনও গ্রাম সীমানা বদলাবে, এটা মানা যায় না। ফডণবীসের এই বক্তব্যকে প্ররোচনামূলক বলে আখ্যা দেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। তিনি বলেন, “কর্নাটকের গ্রামকে মহারাষ্ট্রে শামিল করার যে স্বপ্ন উনি (ফডণবীস) দেখছেন, তা কোনও দিন সফল হবে না।”
কিছু দিন আগেই সাংলি জেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বোম্মাই দাবি করেছিলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা পান না সেখানকার বাসিন্দারা। এ সব এলাকার জন্য আলাদা উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। বোম্মাইয়ের অভিযোগ সাংলি জেলার অনেক গ্রামে পানীয় জল পৌঁছয় না। এই অভিযোগ অবশ্য কার্যত মেনে নিয়েছেন ফডণবীস। জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এ বিষয়ে উদ্যোগী হলেও, উদ্ধব ঠাকরের সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়নি।