আজ গুয়াহাটিতে রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই উত্তর-পূর্বের রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে সাত হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করলেও বরাক উপত্যকার জন্য সেখানে কিছুই নেই। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিলচর-লামডিং ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি।
কমিটির আহ্বায়ক অজয় রায় বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর অপেক্ষার পর এই অঞ্চলের মানুষ ব্রডগেজ পেয়েছেন। কিন্তু এক বছরেও এর সুফল মিলছে না। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বরাকের ব্রডগেজ পরিষেবা। পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতা, দুর্বল যাত্রী-পরিষেবা, অধিকতর যাত্রী-ট্রেনের ব্যাপারে রেলকর্তাদের উদাসীনতায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন সময়ে রেল প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণায় বরাক উপত্যকার প্রতি উপেক্ষা মেনে নেওয়া যায় না বলেই মন্তব্য করেন অজয়বাবু।
উপেক্ষার বেশ কটি উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যোরহাট-গুয়াহাটি রুটে এখন জনশতাব্দী চলছে। এর পর আরও দু’টি শতাব্দীর ঘোষণা করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী। অথচ শিলচর-গুয়াহাটির মধ্যে এ রকম একটা ট্রেন দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি। শিলচরকে মডেল স্টেশন করার ঘোষণার ব্যাপারেও চুপ থেকে গিয়েছেন রাজেনবাবু।’’ সংগ্রাম কমিটির কমিটির কর্মকর্তাদের কথায়, শিলচরে রিটায়ারিং রুমের সংখ্যা বাড়ানো, এসি ওয়েটিং রুম তৈরি, ভোজনালয় নির্মাণ, পিট লাইনের সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি পরিকাঠামোর নজর দেওয়া দরকার। তাঁদের আরও অভিযোগ, গুয়াহাটি থেকে দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার অনেক ট্রেন রয়েছে। এরপরও গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু আরেকটি এসি ট্রেনের ঘোষণা করা হল। এই ট্রেনটিকে শিলচর থেকে চালু করা যেত।চন্দ্রনাথপুর থেকে লঙ্কা হয়ে গুয়াহাটি যাওয়ার দ্বিতীয় রেলপথ নির্মাণের দাবিতে এই অঞ্চলের মানুষ যে দীর্ঘদিন থেকে দাবি করছেন, তার উল্লেখ করে অজয়বাবু বলেন, দ্রুত চলাচলের জন্য এটি অতি আবশ্যক। এটি শুধু বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য নয়, দ্বিতীয় রেলপথ নির্মাণ হলে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের মানুষও ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকতর সুবিধে পাবেন বলে তাঁর দাবি। কমিটির কর্মকর্তাদের কথায়, শিলচরে রিটায়ারিং রুমের সংখ্যা বাড়ানো, এসি ওয়েটিং রুম তৈরি, ভোজনালয় নির্মাণ, পিট লাইনের সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি পরিকাঠামোর নজর দেওয়া দরকার। তাঁদের আরও অভিযোগ, গুয়াহাটি থেকে দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার অনেক ট্রেন রয়েছে। এরপরও গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু আরেকটি এসি ট্রেনের ঘোষণা করা হল। এই ট্রেনটিকে শিলচর থেকে চালু করা যেত।চন্দ্রনাথপুর থেকে লঙ্কা হয়ে গুয়াহাটি যাওয়ার দ্বিতীয় রেলপথ নির্মাণের দাবিতে এই অঞ্চলের মানুষ যে দীর্ঘদিন থেকে দাবি করছেন, তার উল্লেখ করে অজয়বাবু বলেন, দ্রুত চলাচলের জন্য এটি অতি আবশ্যক। এটি শুধু বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য নয়, দ্বিতীয় রেলপথ নির্মাণ হলে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের মানুষও ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকতর সুবিধে পাবেন বলে তাঁর দাবি।