শরীরের উপরে ত্বকের একেবারে একটা স্বচ্ছ আস্তরণ। বাইরে থেকেই দেহের শিরা-উপশিরা, এমনকী, দেহের ভিতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্পষ্ট দৃশ্যমান। নাগপুরের লতা মঙ্গেশকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ রকমই একটি শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন অমরাবতীর এক মহিলা। চিকিত্সকেরা বলেছিন, জিনগত ত্রুটির কারণে এ ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। চিকিত্সা পরিভাষায় এর নাম হারলেকুইন ইচথিয়োসিস। যা বিরল থেকে বিরলতম একটি চর্মরোগ। তিন লাখ সদ্যোজাতের মধ্যে এক জন এই বিরলতম রোগের শিকার হয় বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। শরীরের উপর সাদা ফেট্টির মতো আস্তরণ। তার মধ্যে গভীর ফাটা ফাটা দাগে ভর্তি। চোখ, কান, নাক খুব একটা স্পষ্ট নয়। শরীরের উপর চামড়ার পুরু আস্তরণ না থাকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, শিশুটির কোনও শ্বাসকষ্ট নেই। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছিলেন, এ ধরনের রোগের সেরে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। মেডিক্যাল সায়েন্স শুধু শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করতে পারে। যদিও সব চেষ্টা বিফল করে সোমবার বিকেলেই মারা গেল শিশুটি।
১৯৮৪-তে জিনগত ত্রুটির কারণে পাকিস্তানে এ রকম একটি শিশুর জন্ম হয়। সে বেঁচেছিল ২০০৮ পর্যন্ত। ১৯৯৪-তে আমেরিকায় এ রকম একটি ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল।
আরও খবর...