কানপুরে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কালিন্দি এক্সপ্রেস। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রেললাইনের উপর রাখা আছে আস্ত গ্যাস সিলিন্ডার। পাশেই সাজানো পেট্রলের বোতল এবং দেশলাই বাক্স। অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রিবাহী কালিন্দি এক্সপ্রেস। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে হরিয়ানার ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল ওই ট্রেন। মাঝে কানপুরে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় সেটি। রেললাইনের উপরে রাখা সিলিন্ডারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে ওই ট্রেনের। লাইনের উপরে কে বা কারা সিলিন্ডার বসিয়ে রাখল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রেনের ধাক্কায় সিলিন্ডারটি ছিটকে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক।
রবিবার রাত ৮টা নাগাদ সিলিন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর কানপুরের কাছে ২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস। ঘটনার পরেই চালক রেলপুলিশ এবং রেল আধিকারিকদের খবর দেন। দ্রুত তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেখা যায়, রেললাইনের উপর একটি বোতলে পেট্রল জাতীয় তরল রাখা। সঙ্গে রয়েছে দেশলাই বাক্সও। নিকটবর্তী ঝোপে কয়েক জনের বসে থাকার প্রমাণও মিলেছে।
মনে করা হচ্ছে, ওই ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদিও পুলিশ বা রেল এ বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। উদ্ধার হওয়া বোতলে তরল আদৌ পেট্রল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রেলের ইজ্জতনগর ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক রাজেন্দ্র সিংহ বলেছেন, ‘‘বোতলে যে তরল মিলেছে, তা পেট্রল বলেই মনে হচ্ছে। তবে পরীক্ষার পর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রেললাইনের ধারে দেশলাই এবং কিছু বিস্ফোরক পদার্থও মিলেছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।’’
কানপুরে কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর ভিওয়ানির দিকে আবার রওনা দেয় কালিন্দি এক্সপ্রেস। আচমকা সংঘর্ষের শব্দে ট্রেনের যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, চালক দ্রুত ট্রেন না থামালে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ট্রেনে আগুনও ধরে যেতে পারত। ছিটকে যেতে পারত একাধিক কামরা। উত্তর-পূর্ব রেল এবং রেলপুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।