Trade Deal

ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা এখনই শুরু

গত এক বছরে এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা কম করেননি ভারতীয় কূটনীতিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

জানুয়ারির ২০ তারিখ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় শত চেষ্টা সত্ত্বেও যেটা হল না, এ বার সেই অসমাপ্ত ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকর। বছরের শেষ থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার নতুন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার কাজটি শুরু করল মোদী সরকার।

Advertisement

আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী স্মারক বক্তৃতায় ভারত-আমেরিকা বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক গত এক বছরে যতটা এগিয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অগ্রগতি সেই মতো হয়নি। ট্রাম্প জমানায় যা সম্ভব হয়নি, আগামী দিনে তা করা যাবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন নিশা।

গত এক বছরে এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য চেষ্টা কম করেননি ভারতীয় কূটনীতিকরা। কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের মীমাংসা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প চেয়েছিলেন আমেরিকা থেকে ভারতে আসা অ্যাপল-এর মতো দামি স্মার্টফোন, স্মার্ট-ঘড়ির উপরে শুল্ক কমানো বা তুলে নেওয়া হোক। নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, তাতে চিন-হংকংয়ের ফায়দা হবে। তার বদলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সফল করতে অ্যাপল-ই ভারতে কারখানা খুলুক।

Advertisement

মতবিরোধ শুধু এখানেই নয়। আমেরিকা চায় তাদের কৃষি এবং ডেয়ারি পণ্যের জন্য ভারতের বাজার আরও বেশি খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু চাষি-পশুপালকদের কথা ভেবে বিজেপি নেতৃত্ব আপাতত তাতে পিছপা। আমেরিকা চাইছে মোদী সরকার হৃদ‌্‌রোগের চিকিৎসার স্টেন্টের দামে যে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা তুলে নেওয়া হোক। তাতে মার্কিন সংস্থার ফায়দা হলেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়বে বলে সরকার এখনও তা করতে নারাজ। উল্টে মোদী সরকার চাইছে, ভারত থেকে রফতানি করা ইস্পাত বা অ্যালুমিনিয়াম থেকে বর্ধিত শুল্ক তুলে নিন ট্রাম্প। এ দেশে কৃষি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের জন্য আরও বেশি করে মার্কিন বাজার খুলে দেওয়া হোক।

আমেরিকার সঙ্গে ‘কোয়াড’ এবং ‘টু প্লাট টু’ মেকানিজ্মগুলির উল্লেখ করে বিসওয়াল বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত বাণিজ্য ক্ষেত্রে এই রকম অগ্রগতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২১ সালে এ ব্যাপারে দু’দেশেরই মনোযোগ দেওয়া উচিত। আশা করা যায়, আগামী বছর কিছু বাড়তি সুযোগ আসবে সামনে। তাঁর ব্যাখ্যা, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন বিষয় সামনে চলে আসে। চুক্তির পরিমাপগুলিও বদলে যায়। কোনও একটি দেশের পক্ষে যা আগে সম্ভব ছিল, পরে তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।” বর্তমান আমেরিকার সরকারের পক্ষে যা সম্ভব হল না, পরবর্তী সরকার তা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement