হামলা চলল বিটিসি প্রধান তথা বিপিএফ সভাপতি হাগ্রামা মহিলারির স্ত্রীর গাড়িতে। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় বড়ো চুক্তি স্থায়ী শান্তি আনতে পারল না। উল্টে বিটিসি নির্বাচনের দু’মাস বাকি থাকতেই শুরু হল হিংসা। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালালো খোদ বিটিসি প্রধান তথা বিপিএফ সভাপতি হাগ্রামা মহিলারির স্ত্রীর গাড়িতে। স্ত্রী শিউলি ব্রহ্ম মহিলারি ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন হাগ্রামার দুই পুত্র, জান ও জিউ। গাড়ির ক্ষতি হলেও তাঁরা কেউ জখম হননি।
গত রাতে শিবরাত্রির এক উৎসবে যোগ দিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন পরিষদের বিভাগীয় প্রধান যজ্ঞবতী বসুমাতারি মহিলারিও। শিউলিদেবী জানান, চিরাং সংরক্ষিত অরণ্য ঘেঁসা হাল্টুগাঁওয়ের জঙ্গল পার হওয়ার সময় ১০-১৫ জন লোক তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। চালক দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালান। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ জখম হননি। মহিলারি পরিবারের সন্দেহ, ঘটনায় বড়ো ছাত্র সংগঠন আবসুর হাত রয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। আবসু অবশ্য ঘটনার নিন্দা করে দাবি করেছে, তারা এই ঘটনায় জড়িত নয়। কোনও প্রমাণ ছাড়া তাদের দায়ী করা অন্যায়।
প্রমোদ বড়ো ও এনডিএফবি নেতারা চুক্তির পরে রাজনীতিতে নামায় বড়োভূমিতে সমান্তরাল শক্তিকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। চাপে হাগ্রামা। বড়ো চুক্তির সাক্ষী হাগ্রামা এখন দাবি করছেন, এই চুক্তি আদতে ফাঁকি। তিনি চুক্তি ও প্রস্তাবিত বড়ো টেরিটরিয়াল রিজিয়নের গঠন মানেন না। এই পরিস্থিতিতে এপ্রিলে বিটিসি নির্বাচনের সময় বড়োভূমি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: ‘মোদী আশ্বস্ত করেছেন, সারা দেশে এনআরসি হবে না’, বললেন উদ্ধব
এ দিকে, বড়ো চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এক মাসের জামিন পাওয়া এনডিএফবি নেতা রঞ্জন দৈমারির জামিনের মেয়াদ গত কাল শেষ হওয়ার পরে গৌহাটি হাইকোর্ট অবিলম্বে রঞ্জনকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করে জেলে ফিরে গিয়েছেন রঞ্জন। ২০০৮ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৯০ জনের হত্যা ও ৪০০ জনকে জখম করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রঞ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত।
কিন্তু বড়ো চুক্তির পরে এনডিএফবি দাবি তোলে, শান্তির স্বার্থে দলের সকলের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। কেন্দ্র অবশ্য জানায় লঘু মামলা খারিজ হলেও বড় অপরাধের ক্ষেত্রে মামলাগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রঞ্জন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি তার শুনানি হবে।