বেল বাজিয়ে বাড়িতে হামলা, রক্ষা দিল্লির বিধায়কের

ভোর বেলা একাধিক বার বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলেছিলেন বিধায়ক। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তখন জানিয়েছিল চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু কাগজে সই লাগবে তাঁর। এর পর সই করার জন্য বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে সটান পিস্তল বার করে গুলি ছুড়তে থাকে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কোনও মতে দুষ্কৃতীর নাগাল ছাড়িয়ে প্রাণে বেঁচেছেন দিল্লির শাহদারা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক জিতেন্দ্র সিংহ শান্টি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১৮
Share:

জিতেন্দ্র সিংহ শান্টি

ভোর বেলা একাধিক বার বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলেছিলেন বিধায়ক। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তখন জানিয়েছিল চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু কাগজে সই লাগবে তাঁর। এর পর সই করার জন্য বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে সটান পিস্তল বার করে গুলি ছুড়তে থাকে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কোনও মতে দুষ্কৃতীর নাগাল ছাড়িয়ে প্রাণে বেঁচেছেন দিল্লির শাহদারা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক জিতেন্দ্র সিংহ শান্টি।

Advertisement

আজ ভোরে দিল্লির বিবেক বিহার এলাকার এই ঘটনার পুরোটাই রেকর্ড হয়ে গিয়েছে সিসিটিভিতে। সেই ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসারেরাও।

শান্টি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বারবার বেল বাজতে থাকে। দরজা খোলার পরে হেলমেট পরা এক ব্যক্তি জানায়, কিছু ফর্মে তাঁর অ্যাটেসটেশন লাগবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি সাদা বড় গাড়ি করে এসেছিল। গাড়িটি হরিয়ানার। শান্টির বাড়ির কিছু দূরে সেটি পার্ক করে রাখা ছিল। ওই গাড়িতে অপেক্ষা করছিল আরও দু’জন।

Advertisement

শান্টির কথায়, “আমি ওদের বলি, বাড়ির লাগোয়া আমার অফিস আছে। সেখান থেকে সইয়ের স্ট্যাম্প আনতে হবে। যেই আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যাই, ওই ব্যক্তি আমার কলার ধরে হিড়হিড় করে টানতে শুরু করে। তার পরই পিস্তল বার করে। আমি ওকে ছাড়াতে যাই। এর পরই ও গুলি ছুড়তে থাকে। চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে। তবে একটা গুলিও আমার গায়ে লাগেনি। বাড়ির দরজা তখন ভিতর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে আমি পিছনের দরজার দিকে ছুটি। কোনও মতে সেই দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢুকি। আমার চিৎকার শুনে তত ক্ষণে ওরাও গাড়ি চেপে পালিয়ে গিয়েছে।”

বিধায়কের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, এমনিতে শান্টির নিরাপত্তার জন্য তাঁর বাড়িতে দু’জন পুলিশ মোতায়েন থাকে। কিন্তু বিধায়ক জানিয়েছেন, সারা দিন ডিউটি করার পরে ওই দু’জন ভোরের দিকে ঘুমোতে যেতেন। বিধায়কের আরও বক্তব্য, আততায়ীরা সব জেনেই অত ভোরে হামলা করতে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শান্টির বাড়ির কাছ থেকে খালি কার্তুজ মিলেছে। দুষ্কৃতীরা যে হেতু হেলমেট পরে ছিল, তাই তাদের চেনা সম্ভব হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজটি খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে এটাই প্রথম বার নয়। এর আগেও হামলা হয়েছে শান্টির উপর। ২০০৮ সালেও প্রায় একই কায়দায় হামলা চলেছিল তাঁর উপর। শান্টির কথায়, “আমি জানি না কারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে যারা এসেছিল ছক কষেই এসেছিল। আরা তারা পেশাদার। বহু দিন ধরে লোকের সেবায় আছি। হয়তো তাই কেউ কেউ আমার শত্রু হয়ে গিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement