দুর্ঘটনাগ্রস্থ সেই বাস। নিজস্ব চিত্র।
মোট তিনটি দুর্ঘটনায় মণিপুরে এ দিন ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সেনাপতি জেলায়। পুলিশ জানায়, ডিমাপুর থেকে ইম্ফলগামী যাত্রিবাহী বাসটি এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ চাকুমেই এলাকায় মাখান টাবিও সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে গড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। রাতে, নির্জন এলাকায় ঘটনাটি ঘটায় উদ্ধারকারী দল আসতে সময় লাগে। পরে আসাম রাইফেলসের একটি দল খাদে নেমে মৃতদেহ ও জখম যাত্রীদের উপরে তোলে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজন জওয়ানও ছিলেন। জখম ৩৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে আরও দু'জন মারা যান।
এর পর, সেনাপতি জেলারই মারাম এলাকায় এদিন একটি ট্রাক খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু হয়।
তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তামেংলঙ জেলায়। পুলিশ জানায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জিরিবাম থেকে ইম্ফলগামী একটি যাত্রিবাহী গাড়ি ইরাঙ এলাকায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের খোংখাং গ্রামের কাছে পাহাড়ি পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় তিনশ ফুট খাদে আছড়ে পড়ে। গাড়িতে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে কাছাড়ের লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা চালক শ্যাম সিংহ ও একই এলাকার বাসিন্দা ভরত সিংহ ও তাঁর মেয়ে অ্যাঞ্জেলা সিংহ-সহ আট জন ঘটনাস্থলে মারা যান। ভরতবাবুর অন্য মেয়ে ক্রিস্টন ও বাকি ছ'জন যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লা মৃতদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেণ সিংহ মৃতদের পরিবার পিছু দু'লক্ষ টাকা ও জখমদের চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।