গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ব্যঙ্গাত্মক কবিতায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করতে তিনি পছন্দ করেন। আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বী যদি বিজেপি হয় তা হলে তো কথাই নেই! তিন রাজ্যে যখন বিজেপিনাস্তানাবুদ হচ্ছে কংগ্রেসের ‘হাতে’, তখন নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না তিনি, মোক্ষম জবাবটা ফিরিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি সমাজবাদী পার্টির সভাপতিঅখিলেশ যাদব ওরফে টিপু।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি-র স্লোগান ছিল ‘আব কি বার মোদী সরকার’। তিন রাজ্যে বিজেপির শোচনীয় হারের পর অখিলেশ সেই স্লোগানটাকেই পাল্টে দিয়ে বললেন, ‘আব কি বার খো দি সরকার!’ শুধু তাই নয়, যদি এক এক করে এগারো জন এক সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়, তা হলে শক্তিশালী ব্যক্তিকেও ধুলো চাটানো যায়, নাম না করে তিনি বিজেপিকে এটাও মনে করিয়ে দেন। তাই যখন রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশ বিজেপির হাত থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে তখনই টুইট করে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করেন।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল সমাজবাদী পার্টির। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিশাল সংখ্যক আসন নিয়ে জেতে সেই নির্বাচন। সে সময় অখিলেশ নিজে তাঁর মসনদ ধরে রাখতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসের কাছে বিজেপির এই পরাজয়তাঁর মুখের হাসি যেন অনেকটাই চওড়া করেছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যায়নি সপা। মহাজোটের যখন জোর আয়োজন চলছে, সেখানেও কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন অখিলেশ। তাই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তিন রাজ্যের ফল দেখার পরও কি কংগ্রেসের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন অখিলেশ, নাকিহাত মেলাবেন!
আরও পড়ুন: তিন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ রাহুলের
আরও পড়ুন: মোদীর কাছেই শিখেছি কী করা উচিত নয়: রাহুল