ফাইল চিত্র।
আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজ্যে ভোট। নির্বাচনের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন নির্বাচন কর্মীরা। জালোর জেলার ভালিনি গ্রামে আসতেই তাঁরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন, যার নজির নির্বাচন কমিশনের ম্যানুয়াল হাত়ড়েও খুঁজে পাননি তাঁরা। মৌমাছির হুল থেকে কী ভাবে রক্ষা করবেন ভোটারদের, এটাই ছিল তাঁদের সমস্যা।
ভালিনি গ্রামে পোলিং বুথের ঠিক পাশেই বাড়ি মালারাম মালির। বুথ লাগোয়া একটি গাছেই বিরাট মৌমাছির চাক নজরে আসে ভোটকর্মীদের। তাতেই বিপদের আঁচ পান তাঁরা। কারণ, দীর্ঘ দিনের ওই মৌচাক বাড়তে বাড়তে রীতিমতো পাকাপাকি ভাবেই ঘাঁটি গেড়েছে মালারামের বাড়িতে। ভোট চলার সময় কোনও কারণে মৌমাছিরা ক্ষেপে গিয়ে ভোটারদের ওপর হামলা চালালে পণ্ড হতে পারে ভোট। তাই বিষয়টি হালকা ভাবে নেননি তাঁরা।
অগত্যা তাঁরা সরকারি ভাবে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হন। বাড়ির মালিক মালারামকে অ্যাসিস্ট্যান্ট পোলিং অফিসার নোটিস পাঠিয়ে জানান, ‘‘ভালিনি পোলিং বুথের কাছে আপনার বাড়িতে একটি মৌচাক দেখতে পেয়েছেন আমাদের কর্মীরা। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আগামী ৭ ডিসেম্বর এই এলাকায় বিধানসভা নির্বাচন, তাতে প্রচুর মানুষ ভোট দিতে আসবেন। মৌমাছির হামলায় ভোট পণ্ড হতে পারে, তাই মৌচাকটি আপনি এই নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলুন।’’ শুধু তাই নয়, ভোটের সময় কোনও ঝামেলা হলে সেই দায় মালারামের ওপর বর্তাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় নোটিসে।
আরও পড়ুন: ‘হিম্মত থাকলে গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস’, তোপ মোদীর
আপাতত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা গিয়েছে, এই ভেবে নোটিস পাঠিয়ে নিশ্চিন্তেই ছিলেন ভোট কর্মীরা। যদিও নোটিসের জবাবে মালারামের উত্তর আসা তখনও বাকি ছিল। দু’দিন পর মালারাম চিঠি লিখে কমিশনকে জানায়, ‘‘এই বিশাল মৌমাছির চাক সরানো তাঁর ক্ষমতার বাইরে। প্রশাসন চাইলে নিজের মতো করে এই মৌমাছির বাসা সরিয়ে নিতে পারে।’’
আরও পড়ুন: অন্ধ্রে ঢুকতে পারবে না সিবিআই, বিজ্ঞপ্তি জারি চন্দ্রবাবুর, সমর্থন করলেন মমতা
অগত্যা বল আবার ফেরত এসেছে কমিশনের কোর্টেই। আপাতত কী ভাবে মৌমাছির চাক সরানো হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না তারা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)