সমাজসেবী শকুন্তলা চৌধুরী।
পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার ২৫ দিনের মাথায় মারা গেলেন অসমের সমাজসেবী শকুন্তলা চৌধুরী। গুয়াহাটিতে উলুবাড়ির যে কস্তুরবা আশ্রম ছিল তাঁর জীবনভর সমাজ সেবার ঠিকানা। ১০২ বছর বয়সে সেখানেই রবিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবে শকুন্তলা এ বছর ২৬ জানুয়ারি পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন। অবশ্য তত দিনে তাঁর স্মৃতি নষ্ট হয়েছে। পুরস্কারের আনন্দ তাঁকে সেই ভাবে ছুঁতেও পারেনি।
গত কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন শকুন্তলা। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করে লেখেন, “জীবনভর গান্ধীবাদী আদর্শ প্রচারের জন্য শকুন্তলাজিকে সর্বদা মনে রাখা হবে। শরণিয়া আশ্রমকে কেন্দ্র করে তাঁর কর্মকাণ্ড বহু জনের জীবনে প্রভাব ফেলেছে।” ১৯৮৫ সালে শরণিয়া পাহাড়ে কস্তুরবা আশ্রম তৈরি হয়েছিল। সেখানে শুরু করা গ্রাম সেবিকা বিদ্যালয়ের জন্য গান্ধীবাদী নেত্রী তথা আশ্রম পরিচালিকা অমলপ্রভা দাস শিক্ষিত তরুণীর সন্ধান করছিলেন। তখনই, গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শকুন্তলা আশ্রমবাসিনী হন। পরবর্তী কালে তিনি শিক্ষকতা করলেও আশ্রমের কাজ সমান তালে চলতে থাকে। মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের দুর্গম অঞ্চলে গিয়েও গান্ধীজির আদর্শ প্রচার করেছেন শকুন্তলা। ভূমিকম্প, বন্যা, চিনের আক্রমণ, ভাষা আন্দোলনের মতো বিভিন্ন অস্থিরতার সময়ে ত্রাণে হাত লাগিয়েছিলেন তিনি। বিনোবা ভাবের সঙ্গে সমগ্র অসম পদব্রজে ঘুরে আদর্শ প্রচারের কাজও করেন। কস্তুরবা গান্ধী স্মারক ট্রাস্টের প্রতিনিধি হন। সাত দশক পরে কাজ ও পদ থেকে অবসর নিলেও উপদেষ্টা ছিলেন। সমাজসেবার জন্য বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি।