বিধানসভায় স্তন্যদানের কক্ষ চাই: আঙুরলতা ডেকা

অভিনয় থেকে হঠাৎই রাজনীতিতে। এক বছরেরও কম সময়ে বিধায়ক। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, গেরুয়া রাজনীতিতে নিছক গ্ল্যামারের ছোঁয়া দিতেই এসেছেন আঙুরলতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:২৬
Share:

সদ্যোজাতকে নিয়ে বিধায়ক আঙুরলতা ডেকা। ছবি: ফেসবুক।

বিদেশে আজকাল আকছার হয়। কিন্তু এ দেশে ও সব স্বপ্নেও হয়তো ভাবেনি কেউ! তবু তিনি লজ্জা ঠেলে এগিয়ে এসে বিষয়টা উত্থাপন করেছেন। নতুন মা এবং অসমের বটদ্রবার বিধায়ক আঙুরলতা ডেকা পরিষদীয় মন্ত্রীকে সরাসরি বলেছেন, বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের পাশে সন্তানকে স্তন্যপান করানোর জন্য যদি একটি ঘরের ব্যবস্থা করা যায়। নয়তো ঘণ্টায় ঘণ্টায় তাঁকে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে ছুটতে হচ্ছে শিশুকন্যার কাছে।

Advertisement

অভিনয় থেকে হঠাৎই রাজনীতিতে। এক বছরেরও কম সময়ে বিধায়ক। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, গেরুয়া রাজনীতিতে নিছক গ্ল্যামারের ছোঁয়া দিতেই এসেছেন আঙুরলতা। কিন্তু গত এক বছরে নিজের কেন্দ্রে কাজের পাশাপাশি বিধানসভার সব অধিবেশনে নিয়ম করে এসেছেন, বক্তব্য পেশ করেছেন তিনি। চলতি অধিবেশনে সেই নিয়মনিষ্ঠ বিধায়ককে মাঝেমধ্যেই আসনে দেখা যাচ্ছিল না। সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে তার প্রয়োজনমতো স্তন্যপান করাতে গিয়ে অধিবেশনে থাকতে পারছিলেন না তিনি।

ভারতে নয়, বিশ্বের অন্য প্রান্তে এমন ঘটনা অনেক সময়েই শিরোনামে এসেছে। এ বছরের জুনেই অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর ল্যারিসা ওয়াটার্স সেনেটে অধিবেশনের মধ্যেই তিন মাসের কন্যাকে স্তন্যপান করিয়েছেন। সে দেশেও অনেক বিতর্ক পেরিয়ে তৈরি হয়েছে এই পথ। কিন্তু ভারতে সংসদ বা কোনও বিধানসভার ভিতরে শিশু নিয়ে ঢোকার নিয়মই নেই! তাই আঙুরলতা এমন একটা প্রসঙ্গ তুললেন, যা নিয়ে এত দিন কেউ মুখ খোলেইনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: সর্বসমক্ষে আইনি কাগজে সই করে স্বামীকে ডিভোর্স

আঙুরলতা এত দিন বিধানসভার অদূরে বিধায়ক আবাসের কোয়ার্টারে সদ্যোজাত কন্যা নমামিকে রেখে অধিবেশনে আসছিলেন। সেখানেই প্রতি ঘণ্টায় এক বার করে বাচ্চার কাছে যেতে হচ্ছে তাঁকে। ফলে অনেক সময়েই সভায় থাকতে পারছেন না আঙুরলতা। আর সেই কারণেই পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারির কাছে চিঠি দিয়ে বিধানসভা ভবনের মধ্যেই মা ও শিশুর জন্য আলাদা ঘরের আবেদন জানান। শুধু বিধায়ক বা সাংসদদের জন্য নয়, সব সরকারি ও বেসরকারি দফতরে মহিলা কর্মীদের জন্য এই সুবিধা বাধ্যতামূলক করার দাবিও জানিয়েছেন আঙুরলতা। বিষয়টি নিয়ে পাটোয়ারি তাঁকে স্পিকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী আজ বলেন, “এখনও আঙুরলতা কিছু জানাননি। তবে কক্ষের দু’পাশে করিডর। অন্য দু’দিকে বিধায়কদের ঘর। করিডর পেরিয়ে মন্ত্রী, বিধায়ক ও রাজনৈতিক দলগুলির ঘর। সেখানে মা ও শিশুর জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।’’ স্পিকারের মতে, ঘরগুলি বাচ্চার পক্ষে স্বাস্থ্যকরও হবে না। হিতেন্দ্রবাবুর মতে, আঙুরলতা চাইলে বিধানসভা ভবনের অতিথি আবাসে সে ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement