National News

অসমে বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ১৪০, আশঙ্কাজনক বহু

কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সালমারা এলাকায় আবগারি দফতরের দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোলাঘাটের ডেপুটি কমিশনার ধীরেন হজারিকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৩
Share:

বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে অসমের চা বাগানের বহু মহিলা-পুরুষ কর্মীর। ছবি: এএফপি।

অসমের বিষমদ-কাণ্ডে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্যের গোলাঘাট ও যোরহাটে বিষমদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪০। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৪১ জনের বেশি। তাঁদের অনেকের অবস্থাই সঙ্কটজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুগিবাড়ি এলাকায় একটি বেআইনি মদ তৈরির কারখানার মালিকও।

গত বৃহস্পতিবার ওই দুই জেলার চা বাগানগুলির অসংখ্য কর্মী বিষাক্ত মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মৃতের সংখ্যার বদল ঘটছে প্রতি মিনিটে।” তবে এর পাশাপাশি, অনেকে অহেতুক ভয় পেয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দু’তিন দিন আগে যাঁদের নানা ধরনের উপসর্গ ধরা পড়েছে তাঁরাও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে আবার আগে মদ খেয়েছেন, অথচ এই ঘটনার কথা শুনে ভয় পেয়েও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।” মন্ত্রী দাবি, “ওই মানুষেরা আসলে মানসিক ভাবে ধাক্কা পেয়েছেন। তাই তাঁদের মনে হচ্ছে, তাঁরা অসুস্থ।”

Advertisement

আরও পড়ুন: দেশাত্মবোধের সুড়সুড়ি দিয়ে বোকা বানাচ্ছিলেন শিফুজি শৌর্য ভরদ্বাজ?

বিষমদ-কাণ্ডে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ছবি: এএফপি।

যোরহাটে চিকিৎসাধীনদের দেখতে যান হিমন্তবিশ্ব। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আশপাশের জেলার মেডিক্যাল কলেজ থেকেও চিকিৎসকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাসুদ আজহার কোনও মৌলানা নন, উনি এক জন শয়তান, বললেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং চিকিৎসাধীনদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে অসম সরকার। পাশাপাশি, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সালমারা এলাকায় আবগারি দফতরের দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোলাঘাটের ডেপুটি কমিশনার ধীরেন হজারিকা। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের সমালোচনা এড়াতে পারেনি রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারপিছু যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে অসম গণ পরিষদ। গোলাঘাটের স্থানীয় বাসিন্দা তথা অসমে মদ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষে আন্দোলনকারী প্রবীণ দাসের দাবি, “আবগারি দফতরের সঙ্গে বেআইনি মদের ভাটির মালিকদের যোগসাজশই এই ঘটনার জন্য দায়ী।” বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের হাতে হেনস্থারও অভিযোগ করেছেন তিনি।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement