ফাইল ছবি
জলমগ্ন শিলচর। কাছাড়-সহ নানা জায়গায় ত্রাণ নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বায়ুসেনার কপ্টারে আকাশপথে কাছাড়ের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। পরে তিনি জানান, সরকার কাছাড়ে আকাশপথে ত্রাণ পাঠানো জারি রাখবে। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে ওয়ার্ডভিত্তিক ত্রাণ ও পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করতে বলেন তিনি। ত্রাণ বণ্টন সুচারু ভাবে চালাতে শিলচরে পাঠানো হচ্ছে ১০ আমলাকে। শিলচরের ভয়াবহ দুর্দশা বৃহস্পতিবারেও অপরিবর্তিত। বন্যার জল এখনও নামেনি। বুধবার সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এলেও বৃহস্পতিবার ছিল বিদ্যুৎহীন। সব টিউবঅয়েল, কুয়ো জলের তলায়। তাই পানীয় জলেরও হাহাকার চলছে। বরাকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবহণমন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য জানান, প্রায় ৪০০০ ট্রান্সফর্মার জলের তলায়। বন্যায় নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েয়েছে শিলচরে।
কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নগাঁওতে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরে তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করতে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসবেন।
এর মধ্যেই অসম ও মেঘালয়ের বন্যা ও ধস নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা পাঠালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। তিনি লিখেছেন, “ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে মেঘালয় ও অসমের যে ক্ষতি হয়েছে, যত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, মানুষ গৃহহীন হয়েছেন- তার জন্য জাপান সরকার ও জাপানের মানুষের তরফে আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি। জাপান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির জন্য সাধ্য মতো সাহায্যের হাত বাড়াবে।” অসমে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৩০ জেলার প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত।
অসমের বন্যায় ক্ষযক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার টুইটে দুঃখপ্রকাশ করার পাশাপাশি কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধ জানান, তাঁরা যেন ত্রাণ ও উদ্ধারে পুরোদমে হাত লাগান।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মহারাষ্ট্রর বিধায়কদের গুয়াহাটিতে স্থানান্তরিত করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর অসমের বন্যা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আসছে না কেন্দ্রীয় সাহায্য বা বিশেষ প্যাকেজও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে অসমিয়ায় টুইট করে নরেন্দ্র মোদী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার অবিরত অসমের পরিস্থিতিতে নজর রাখছে ও এই প্রতিকূলতা মোকাবিলায় যথাসম্ভব সাহায্য করছে রাজ্য সরকারকে। বন্যা কবলিত সব এলাকায় সেনা ও এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে। বায়ুসেনা উদ্ধার অভিযানের জন্য ২৫০টিরও বেশি উড়ান চালিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, আমলারা জেলাগুলিতে রাত দিন কাজ করছেন। মোদী লেখেন, ‘‘আমি বন্যা কবলিতদের সুরক্ষা ও সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি ও ফের এক বার সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।