(বাঁ দিকে) অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
তাঁর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ অসমে প্রবেশের পরেই বার বার হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বার সরাসরি ‘আক্রান্ত’ হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে শারীরিক ভাবে নয়। বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাক্যবাণে। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের দিনেই।
সোমবার অসমের নগাঁওয়ে বটদ্রবা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন রাহুল। অভিযোগ, তাঁকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান রাহুল এবং তাঁর যাত্রাসঙ্গীরা। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তকে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘আজ কেন রাবণকে নিয়ে কথা বলছেন? আজ রাম নিয়ে কথা বলুন। ৫০০ বছর পরে আমাদের সামনে রামকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ এসেছে।’’
প্রসঙ্গত, ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র পঞ্চম দিনে বৃহস্পতিবার রাহুল পৌঁছেছিলেন অসমে। সে রাজ্যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র প্রথম সভাতেই বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে চড়া সুরে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। সরাসরি হিমন্তকে ‘দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রী’ বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি। বস্তুত, সোমবার রাহুলের সেই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করতেই উষ্মা প্রকাশ করেন একদা কংগ্রেসের নেতা হিমন্ত।
বৃহস্পতিবার রাহুলের ওই মন্তব্যের পরেই ধারাবাহিক ভাবে অসমে বিজেপি কর্মীরা ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র উপর হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে শোণিতপুর জেলার জামগুড়িহাতে হামলায় গুরুতর আহত হন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন বরা। শোণিতপুর জেলার পুলিশ সুপার হিমন্তের ভাই সুশান্ত বিশ্বশর্মা। রবিবারই সন্ধ্যায় নগাঁও জেলার রূপহীহাটে একটি হোটেলে খেতে ঢোকার সময় রাহুল ও তাঁর যাত্রাসঙ্গীদের ঘেরাও করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানী গুয়াহাটির প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি থাকলেও রাহুলকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে হিমন্তের পুলিশ।