ছবি: পিটিআই।
রাজস্থানে শক্তিপরীক্ষার আগে রাজ্যের সব বিধায়কদের চিঠি লিখে বিবেক ভোট-এর ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।
আস্থাভোটের জন্য রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন ১৪ অগস্ট থেকে শুরু হবে। তার আগে গত কালই বিধায়কদের চিঠি লিখে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বাণ জানিয়েছেন গহলৌত। তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী ও অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরাও ভোটে হেরেছিলেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করতে দেননি।’’ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়েই রাজস্থানে সরকার ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়কদের তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনাদের অনুরোধ করছি, গণতন্ত্রকে বাঁচান। ভোটাররা যাতে জনপ্রতিনিধিদের উপর বিশ্বাস রাখে, সে দিকে তাকিয়ে কোনও ভুল বার্তা দেবেন না। মানুষের মনের কথা শুনুন। নিজের পরিবারের সদস্যদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিন।’’
চিঠিতে গহলৌত লিখেছেন, ‘‘এই সময়ে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলের নজর দেওয়ার কথা। কী ভাবে মানুষের জীবন বাঁচবে, চাকরি থাকবে, অর্থনীতিকে বাঁচানো যাবে, যে কোনও সরকারের উচিত সে দিকে লক্ষ্য রাখা। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিরোধী দলের কিছু নেতা ও আমাদের কয়েকজন সহকর্মী সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করতে নেমেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’
অতীতে রাজস্থানে বিজেপি নেতা ভৈঁরো সিংহ শেখাওয়াতের সরকার ফেলার চেষ্টার কথাও টেনে এনেছেন গহলৌত। তাঁর দাবি, সেই সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও ও রাজস্থানের তৎকালীন রাজ্যপাল বলিরাম ভগতের কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকারের অমর্যাদা হলে ভোটাররা ক্ষমা করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গণতন্ত্র রক্ষার এই লড়াই চলবে। জিতবেন ‘সরকার ও বিরোধীদলের সেই সব বিধায়কেরা যাঁরা সরকারকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলতে চান না’।
রাজস্থানে ২০০ সদস্যের বিধানসভায় তাঁর দিকে ১০২ জনের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করে কিছু দিন আগেই রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।