সচিন পাইলট ও অশোক গহলৌত ফাইল চিত্র
রাজস্থানের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট ফের ক্ষমতার দাবিতে অধৈর্য হয়ে ওঠায় এআইসিসি থেকে জানানো হয়েছিল, খুব শীঘ্রই মরু-রাজ্যের মন্ত্রিসভায় সচিনের অনুগামীরা জায়গা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত গত এক বছর সচিনের এই দাবিই ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। এ বার এআইসিসি-র ফরমান এসে যাওয়ায় আজ আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হল, আপাতত তাঁর কারও সঙ্গে দেখা করা বারণ। কোভিড থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্যই চিকিৎসকেরা এমন পরামর্শ দিয়েছেন। গহলৌত-শিবির জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দু’মাস মন্ত্রিসভার কোনও রদবদল হবে না।
গত এক বছরে গহলৌত যে শুধু সচিনের মন্ত্রিসভায় ফেরা আটকে রেখেছেন, তা-ই নয়, তাঁর শিবিরের বিধায়কদের নিজের দিকে টেনে এনেছেন, তারও প্রমাণ মিলেছে। সচিন শিবিরের কংগ্রেস নেতা ভঁওয়র লাল শর্মা আজ কার্যত সচিন ও তাঁর দলবলকেই আপাতত উচ্চাকাঙ্ক্ষা দমন করার পরামর্শ দিয়েছেন। গহলৌতের প্রশংসা করে শর্মার বক্তব্য, “তিনি সচিন পাইলটের উপরে। তিনি সকলের নেতা। সচিন পাইলটেরও নেতা।” শর্মা বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী হতে তো আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু সময়ে সময়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধামাচাপা দিতে হয়।”
শর্মার আগে সচিন শিবিরের আরও দুই নেতা গহলৌতের প্রশংসা করেছেন। গহলৌত শিবিরের নেতাদের বক্তব্য, যত দিন যাচ্ছে, সচিনের অনুগামীর সংখ্যা কমছে। কিন্তু সচিন শিবিরের নেতা লোকেশ গুজ্জরের বক্তব্য, মানুষের কাছে সচিনই আসল ‘হিরো’। সচিন এ দিন দেহরাদূনে গিয়ে বলেন, “উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বদলে লাভ হবে না। কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে।”