ভাষণ দিচ্ছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সকাল থেকে নাগপুরের আকাশ যেমন মেঘে ঢাকা ছিল, তেমনই মেঘাচ্ছন্ন ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কর্মসূচিও। হেডগেওয়ারের বাড়িতে কি যাবেন প্রণববাবু? হেডগেওয়ার স্মারকে ফুল দেবেন কি? নাকি শুধু রেশিম বাগ ময়দানে ভাষণ দিয়েই আমন্ত্রণ গ্রহণের দায় সারবেন? এমন হাজারো প্রশ্ন উঠছিল। বেলা গড়াতেই আকাশ থেকে মেঘ সরতে শুরু করল। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাটতে শুরু করল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির গতিবিধিকে ঘিরে থাকা ধোঁয়াশাও। কিন্তু সে ধারণাও আসলে ভুল ছিল। সে ভুল ভাঙল অনেক পরে। বোঝা গেল, যাবতীয় ধোঁয়াশা, যাবতীয় মেঘ বহিরঙ্গেই ছিল। ভিতরে ভিতরে সবই নির্ধারিত ছিল কাঁটায় কাঁটায়। নিজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ভরপুর প্রয়োগ করলেন প্রণব। অসামান্য দক্ষতায় জলে নামলেন, কিন্তু পা ভিজতে দিলেন না।
শেষ ভাষণ কে দেবেন? প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি? নাকি সরসঙ্ঘচালক? বিদর্ভ প্রান্তের সঙ্ঘ মুখপাত্র অনিল সাম্বরে বললেন, ‘‘সরসঙ্ঘচালকই দেবেন।’’ কিন্তু কী ভাবে তা সম্ভব? প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যদি কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, তা হলে শেষ বক্তা তিনিই হন। তাঁর পরে আর কেউ বলতে পারেন না। সাম্বরে ভরপুর প্রত্যয় নিয়ে বললেন, ‘‘সঙ্ঘ অন্য কারও প্রথা অনুসরণ করে না। সঙ্ঘে সঙ্ঘের প্রথাই চলে। এই অনুষ্ঠানে সরসঙ্ঘচালকই শেষ বক্তা। প্রণবদা যখন সঙ্ঘের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, তখন তিনি সঙ্ঘের প্রথার বিষয়ে জেনেশুনেই তা করেছেন।’’
আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার তাগিদে এতটা মাথা নোওয়াবেন প্রণব? রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে যে প্রথা তাঁর সঙ্গে হয়েছে, তা ভেঙে দেবেন সঙ্ঘীয় প্রথার খাতিরে? বিস্ময় মেশানো চর্চা শুরু হয়ে গেল রেশিম বাগেই।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছু পরে অবশ্য অনিল সাম্বরের বিস্মিত হওয়ার পালা। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সম্মানে নিজেদের একাধিক প্রথা ভেঙে দিলেন মোহন ভাগবত নিজেই।
কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের বাড়িতে
মঞ্চে পাঁচটি চেয়ার রাখা ছিল। মাঝখানের চেয়ারটি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির জন্য। সঙ্ঘের প্রথা মানলে মধ্যমণি হওয়ার কথা ছিল ভাগবতেরই।
রাজেশ লোয়া, গজেন্দ্র সিংহ সান্ধু এবং শ্রীরাম হরকরের ভাষণ শেষ হতেই জানা গেল ভাবগত নন, প্রণবই শেষ বক্তা। বোঝা গেল, নাগপুর বা বিদর্ভের সঙ্ঘ কার্যকর্তাদের অধিকাংশেরই জানা ছিল না কর্মসূচিতে এই বড়সড় পরিবর্তনের কথা।
আরও পড়ুন: ‘দেশে হিংসা ক্রমশ বাড়ছে, তার থেকে সরে আসতে হবে,’ আরএসএসের মঞ্চে বার্তা প্রণবের
সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গের তৃতীয় বর্ষের সমাপন সমারোহে প্রণব মুখোপাধ্যায় আমন্ত্রিত হওয়া মাত্রই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। যত কাছে এসেছে অনুষ্ঠানের তারিখ, ততই বেড়েছে বিতণ্ডা। ফলে অন্যান্য বছরে সে ভাবে নজরেই আসে না সঙ্ঘের যে কর্মসূচি, এ বার তা গোটা দেশের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানের চেয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। মোহন ভাগবত কিন্তু প্রণবের সেই গুরুত্ব বিন্দুমাত্র খর্ব করার চেষ্টা করলেন না এ দিন। নিজের ভাষণ শুরু করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে। সঙ্ঘের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে এত বিতর্ক কেন, সর্বাগ্রে সেই প্রশ্নই তুললেন ভাগবত। তার পরে বললেন, ‘‘তাঁকে কেন ডাকা হল, আর তিনিই বা কী ভাবে যাচ্ছেন, এই চর্চা নিরর্থক। সঙ্ঘ হল সঙ্ঘ, প্রণব মুখোপাধ্যায় হলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, এবং থাকবেনও।’’ সঙ্ঘের মঞ্চে এসেছেন বলে প্রণব নিজের রাজনৈতিক পরিচয় বিসর্জন দিয়েছেন বা মতাদর্শ বদলে ফেলেছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই— বোঝানোর চেষ্টা করলেন ভাগবত।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স।
সক্রিয় রাজনীতিতে থাকাকালীন আজীবন আরএসএস-এর সমালোচনাই করে এসেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই প্রণব মুখোপাধ্যায় যদি সেই রকমই থাকেন, তা হলে সঙ্ঘের মঞ্চে কেন ডাকা হল তাঁকে? প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ছিল। উঠতে দিলেন না ভাগবত। নিজেই ব্যাখ্যা দিলেন। বললেন, ‘‘দেশের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের উপরে প্রভূত্ব করার জন্য হিন্দু সমাজের মধ্যে আলাদা একটা প্রভাবশালী গোষ্ঠী হয়ে ওঠা সঙ্ঘের লক্ষ্য নয়। সঙ্ঘ তো সম্পূর্ণ সমাজকে সংগঠিত করতে চায়। তাই আমাদের জন্য কেউ পর নন। বাস্তবে কোনও ভারতবাসীই কোনও ভারতবাসীর কাছে পর নন।’’
আরও পড়ুন: বক্তৃতায় মান রক্ষা, তবু ক্ষুব্ধ সনিয়া
ভাগবতের এই কথাগুলো যদি হয় রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে, তা হলে পরের কথাগুলোই ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য ভারসাম্য-ভাষণের পথ মসৃণ করার লক্ষ্যে। ‘‘বিবিধতায় একতা— এ হল ভারতের হাজার হাজার বছরের পরম্পরা... ভারতের মাটিতে জন্মানো প্রত্যেক ব্যক্তিই ভারতের সন্তান।’’
হেডগেওয়ারের মূর্তিতে মালা দিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায় যে শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে ভারতের এই বিবিধতা বা বহুত্বের কথাই বার বার তুলে ধরেছিলেন প্রণব। সে দিন যে সব কথা বলছিলেন, বৃহস্পতিবার সঙ্ঘের মঞ্চ থেকে দেওয়া ভাষণের কোনও কোনও অংশে ঠিক সেই কথাগুলোই প্রায় হুবহু শোনালেন তিনি। বললেন, ‘‘আমাদের জাতীয় পরিচিতি উঠে এসেছে সমাবেশ, আত্তীকরণ এবং সহাবস্থানের একটা সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে।’’ বললেন, ‘‘সহিষ্ণুতাই আমাদের শক্তি। আমাদের বহুত্বকে আমরা স্বীকার করি এবং সম্মান করি। …গোঁড়ামি, ধর্ম, আঞ্চলিকতা, ঘৃণা বা অসহিষ্ণুতার দ্বারা আমাদের জাতীয়তাকে ব্যাখ্যা করার যে কোনও চেষ্টা জাতি হিসেবে আমাদের পরিচিতিকে গুলিয়ে দেবে।’’
অসহিষ্ণুতা নিয়ে যখন জোর চর্চা দেশে, তখন সঙ্ঘের মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়েও প্রণব মুখোপাধ্যায় এই কথাগুলো বলবেন না, তা কষ্টকল্পনা। কারণ নিজের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই কথাগুলোই বার বার বলে এসেছেন প্রণব। ভাগবতও সম্ভবত জানতেন প্রণবের বাধ্যবধাকতার কথা। তাই প্রধান অতিথির সঙ্গে সরসঙ্ঘচালকের মতানৈক্যের সম্ভাবনা শুরুতেই শেষ করে দিলেন তিনি। দু’জনের ভাবনা পরস্পরের সঙ্গে মেলে, এমন বার্তা দেওয়ার পথ প্রশস্ত করে দিলেন নিজের ভাষণে বহুত্বের পক্ষে সওয়াল করে। তবে সে ‘বহুত্বের’ ভাগীদার ঠিক কারা, ভাগবত তা ভেঙে বললেন না।
কিন্তু শুধু ভাগবতই কি প্রণবকে খুশি করলেন? উল্টোটাও কি হল না? খুব স্পষ্ট ভাবেই হল। সঙ্ঘ বরাবরই প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা এবং ভারতে হিন্দু সম্রাটদের রাজত্বকালের প্রশংসক। ভাবগতের ভাষণে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার মহত্বের কথা এ দিনও উঠে এল। তার পরেই একই ভাবে মৌর্য যুগ, গুপ্ত যুগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু দ্বাদশ শতকে ভারতে মুসলিম রাজত্বকালের সূচনাকে প্রণব ‘মুসলিম অনুপ্রবেশ’ (Muslim Invasion) বলে আখ্যা দিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে গাঁধীর নাম উচ্চারণ করলেন বটে। কিন্তু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বা বাল গঙ্গাধর তিলক সম্পর্কে যতটুকু, গাঁধী সম্পর্কে তার বেশি একটুও বললেন না।
ভারতের বহুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় এ দিন নেহরুর ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’র প্রসঙ্গ টানলেন ঠিকই। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশ গঠন তথা ভারতকে তার বর্তমান চেহারায় পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব দিলেন শুধুমাত্র সর্দার বল্লভভাই পটেলকে। বললেন, ‘‘১৯৪৭ সালে আমরা স্বাধীনতা পেলাম। সর্দার বল্লভভাই পটেলকে ধন্যবাদ, তাঁর প্রচেষ্টাতেই দেশীয় রাজাদের হাতে থাকা রাজত্বগুলি ভারতের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে এক ঐক্যবদ্ধ ভারতের চেহারা তৈরি হল।’’ বলা বাহুল্য, কংগ্রেস নেতা হওয়া সত্ত্বেও সর্দার পটেল হলেন আরএসএস বা বিজেপির চোখের মণি। স্বাধীনোত্তর ভারত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রণব সেই পটেলের কথাই বললেন। নেহরুর কথা বা নিজের ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহকর্মী ইন্দিরার কথা বললেন না একবারও।
রেশিম বাগ ময়দানে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাষণ ছিল সুতোর উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কসরৎ। নিজের পাণ্ডিত্যে এবং কথার মারপ্যাঁচে সে পরীক্ষায় দারুণ ভাবে উতরে গেলেন প্রণব। কিন্তু দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোক্ষম কাজটা তো তার আগেই করে এসেছিলেন। সঙ্ঘের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেও, সঙ্ঘের প্রথা মেনে প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের বাড়িতে বা হেডগেওয়ার স্মারকে যেন না যান প্রণব। কংগ্রেস তেমনটাই শেষ পর্যন্ত চেয়েছিল। কারণ হেডগেওয়ারের নীতিকেই চিরকাল সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে এসেছে কংগ্রেস। তাই হেডগেওয়ারের বাড়িতে প্রণবের যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোটা মহারাষ্ট্রে জোর জল্পনাও ছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সে সবে গুরুত্ব দেননি। প্রথমে হেডগেওয়ারের বাসভবনে এবং পরে হেডগেওয়ারের স্মারকে তিনি যান। বাসভবনের ভিজিটর্স বুকে প্রণব লেখেন, ‘হেডগেওয়ার ভারতমাতার মহান সন্তান’। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির হস্তাক্ষর সম্বলিত সেই পাতার ছবি মুহূর্তে প্রকাশ করে দেয় সঙ্ঘ। ফলে রেশিম বাগে প্রণবের ভাষণ শুরুর অনেক আগেই কংগ্রেস হাল ছেড়ে দেয়।
স্বাক্ষর: কে বি হেডগেওয়ারের বাড়িতে ভিজিটর্স বুকে প্রণববাবুর মন্তব্য।
কংগ্রেস নেতাদের প্রতিক্রিয়াতেও হতাশা স্পষ্ট। আনন্দ শর্মা সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে টুইট করেন। তখনও প্রণবের ভাষণ শুরু হয়নি। কিন্তু ভিজিটর্স বুকে তিনি কী লিখেছেন, তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তার ভিত্তিতেই শর্মার টুইট। তিনি লেখেন, ‘‘প্রবীণ নেতা তথা তাত্ত্বিক প্রণব মুখোপাধ্যায়কে আরএসএস সদর দফতরে দেখে লক্ষ লক্ষ কংগ্রেস কর্মী এবং বহুত্ব, বৈচিত্র ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বুনিয়াদি মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষকে ব্যথিত করেছে।’’
পরে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, প্রণব মুখোপাধ্যায় সঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সঙ্ঘে বহুত্ব, সহিষ্ণুতা, ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা দিয়ে এসেছেন। মোদীকে ‘রাজধর্ম’ পালনের বার্তা দিয়েছেন প্রণব— বলেছেন সুরজেওয়ালা।
কিন্তু অন্য অনেক কংগ্রেস নেতাই তাঁর সঙ্গে সহমত হননি। মণীশ তিওয়ারিও প্রণবকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন।
বামেদের প্রতিক্রিয়াও মোটেই সুখকর নয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির টুইট, ‘‘আরএসএস সদর দফতরে প্রণব মুখোপাধ্যায় যে ইতিহাস তুলে ধরেছেন, তাতে গাঁধী এবং তাঁর হত্যার প্রসঙ্গের অনুপস্থিতিই অনেক কথা বলে দেয়।’’ গাঁধী হত্যার পরে সর্দার পটেলই যে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, সঙ্ঘের লোকজনকে সে কথা মনে করিয়ে দিলে প্রণব ভাল করতেন— টুইটারে এমনও লিখেছেন ইয়েচুরি।
যে ভাষণ প্রণব মুখোপাধ্যায় এ দিন দিয়েছেন, তাতে তাঁর দিকে সরাসরি আঙুল তোলা কঠিন। কিন্তু কংগ্রেসের মুখ আরও ভার হয়েছে। আর একগাল হাসি ও ‘প্রণবদা’কে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ ছেড়েছেন মোহনরাও ভাগবত।
রাতে ফের অঝোর বৃষ্টি নেমেছে নাগপুরে। বজ্র-বিদ্যুৎ সহযোগে।