চলতি বছরের শেষে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ছবি: পিটিআই
আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে পা দিতেই আজ বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আজ বরোদা বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই মোদী-মোদী আওয়াজ তোলেন বিজেপি সমর্থকেরা। পরে কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টির সমর্থকেরা এসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ভিড়ের মধ্যে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
চলতি বছরের শেষে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। পঞ্জাবের পরে গুজরাতে ভাল ফল করতে মরিয়া আপ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই দিল্লির ধাঁচে ওই রাজ্যেও বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেজরীওয়াল। সম্প্রতি গুজরাত সরকারের নতুন পেনশন নীতির বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষকেরা।
আজ শিক্ষকদের সেই ক্ষোভকে উস্কে দিতে কেজরীওয়াল ক্ষমতায় এলে ওই রাজ্যে আগের পেনশন নীতি চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে জনসভায় কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘গুজরাতে বিজেপির ভিত নড়ে গিয়েছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আপ রাজ্যের মানুষের কাছে নতুন বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে। তাই রাহুল গান্ধী গুজরাতে এলে বিক্ষোভ হয় না। কেজরীওয়াল এলে হয়। কারণ বিজেপি বুঝতে পারছে একমাত্র আপের ক্ষমতা রয়েছে তাদের হারানোর।’’
যদিও রাজনীতিকদের একাংশের মতে, পরিকল্পিত ভাবেই আপ-কে এ ভাবে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ঠিক এ ভাবেই গোয়া নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। এ বারেও লক্ষ্য আপ-কে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি-বিরোধী ভোটে বিভাজন ঘটানো। কারণ বিজেপি খুব ভাল করেই জানে যে বিরোধী ভোট যদি একজোট হয়ে কংগ্রেসের ঘরে যায় সে ক্ষেত্রে বিজেপি প্রার্থীকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে রাহুল গান্ধীর দল। তুলনায় বিরোধী ভোট যদি দু’দলের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বিজেপি ভোট বাক্সে তার ফায়দা কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সে কারণেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে কেজরীওয়ালের দলকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে জনমানসে খাড়া করে ভোট বিভাজনের কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।