অরবিন্দ কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র।
কথা ছিল, দিল্লির বাইরে অন্য রাজ্যে ভোটে লড়তে গেলে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি রাজধানীতে ‘সুশাসনের মডেল’-কেই পুঁজি করবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, গোয়ায় ভোটে লড়তে গিয়ে কেজরীবাল অযোধ্যায় নিখরচায় রাম মন্দির দেখাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অরবিন্দ কেজরীবাল অযোধ্যায় রামমন্দিরে পুজো দিয়েই ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন। এ বার গোয়ায় গিয়েও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার পুণ্যার্থীদের নিখরচায় অযোধ্যায় তীর্থ করতে নিয়ে যাবে। নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দলের তকমা অক্ষুণ্ণ রাখতে অবশ্য কেজরীবালের প্রতিশ্রুতি, খ্রিস্টানদের তামিলনাড়ুর ভেলানকান্নির ব্যাসিলিকা, মুসলিমদের অজমেঢ় শরিফেও নিয়ে যাবে সরকার। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ যাত্রা যোজনায় আগেই কেজরীবাল বয়স্কদের তীর্থে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্পে তালিকায় অযোধ্যায় রাম মন্দিরও যোগ হচ্ছে।
গত বছর থেকে দিল্লিতে কেজরীবাল সরকারি উদ্যোগে দীপাবলির পুজো শুরু করেছেন। এ বছর ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে তার জন্য অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের আদলে বিরাট মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। দীপাবলির সন্ধ্যায় কেজরীবালের পুজোর সরাসরি সম্প্রচার হবে। সেখানেও বিজেপির আদলেই রামের জয়ধ্বনি তুলবন কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা বাজি পোড়াবেন না। দূষণও ছড়াবেন না। দিল্লির দু’কোটি মানুষ একসঙ্গে ‘প্রভু রাম’-কে স্বাগত জানাবেন।
আপ কি আসলে বিজেপির পথে হেঁটেই নরম হিন্দুত্ব করছে? আপ নেতাদের জবাব, তাঁরা আসলে বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতির মোকাবিলা করছেন। অন্য দলকে বিজেপি হিন্দু-বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। সেই প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেওয়াই আপের উদ্দেশ্য।