অরবিন্দ কেজরীবাল
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির করা মানহানির মামলা থেকে অরবিন্দ কেজরীবাল ও আপের চার নেতাকে রেহাই দিল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত।
কেজরীবাল তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনার পরে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন জেটলি। মামলা চলাকালীনই জেটলির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কেজরী ও আপের চার নেতা রাঘব চাড্ডা, আশুতোষ, সঞ্জয় সিংহ ও দীপক বাজপেয়ী। এর পরেই মামলা তুলে নিতে কেজরী ও আপ নেতাদের সঙ্গেই আদালতে যৌথ আবেদন জানান জেটলি। আদালতের সামনে রাখা হয় কেজরীবাল ও আপ নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার বয়ান। মঙ্গলবার বিচারক সমর বিশাল সেই আবেদন গ্রহণ করে অভিযুক্তদের মানহানির মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তবে আপ নেতা কুমার বিশ্বাস ক্ষমা চাননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা একই ভাবে চলবে। দিল্লি হাইকোর্টেও জেটলির মানহানির অন্য একটি মামলা তোলার জন্য যৌথ আবেদন জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট তা গ্রহণ করেছে।
২০০০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জেটলি দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকার সময়ে, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছিলেন কেজরী। এর পরেই ক্ষুব্ধ জেটলি মানহানির মামলা করেন। পরে কেজরীর আইনজীবী রাম জেঠমলানী কোর্টে সওয়াল করার সময়ে জেটলিকে ‘ঠগ’ বলেন। জেটলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, জেঠমলানী তাঁর মক্কেলের (কেজরীবাল) অনুমোদন নিয়েই এমন শব্দ প্রয়োগ করেছেন কিনা। জেঠমলানীর দাবি করেন, কেজরীর সঙ্গে কথা বলেই এ সব বলেছেন তিনি। পরে কেজরী জাveন, জেটলির বিরুদ্ধে এমন শব্দপ্রয়োগ আপত্তি রয়েছে তাঁর। সেই সময়েই মিটমাটের রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
তবে কেজরী দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিলেও থামছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সাংসদ কীর্তি আজাদ। গত কালই তিনি টুইট করেন, ‘‘কেজরীবাল ভীতু। আমি এখনও বলছি, জেটলির জমানায় দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে ৪০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছিল।’’