Delhi Rape Case

২০ বছর আগে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার, দাবি ধর্ষণে অভিযুক্ত সরকারি কর্তার, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

অভিযুক্ত সরকারি কর্তার আইনজীবী আদালতে জানান, ২০ বছর আগে এক চিকিৎসকের কাছে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রেমোদয়ের। ফলে ধর্ষণ করে কাউকে গর্ভবতী করার মতো ক্ষমতা তাঁর মক্কেলের নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ১০:২৩
Share:

প্রেমোদয় খাখা। —ফাইল চিত্র।

২০ বছর আগে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। ফলে কাউকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার মতো ক্ষমতা নেই তাঁর। আদালতে এমনই দাবি করলেন বন্ধুর নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দিল্লির সরকারি কর্তা প্রেমোদয় খাখা। তবে অভিযুক্তের এই দাবির সত্যতা কতটা, তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখতে চাইছে দিল্লির পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালতে পেশ করা হয়েছিল ধর্ষণকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত প্রেমোদয় এবং তাঁর স্ত্রী সীমা রানিকে। আদালতে তাঁদের আইনজীবী দাবি করেন, ২০ বছর আগে নামী এক চিকিৎসকের কাছে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রেমোদয়ের। ফলে ধর্ষণ করে কাউকে অন্তঃসত্ত্বা করার মতো ক্ষমতা তাঁর মক্কেলের নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বন্ধ্যত্বের এই অস্ত্রোপচারকে ‘ভ্যাসেকটমি’ বলে। ‘ভ্যাসেকটমি’ হওয়ার ফলে প্রেমোদয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোকগ ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দেন তাঁর আইনজীবী।

পুলিশ অবশ্য দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে প্রেমোদয়ের ‘পোটেন্সি টেস্ট’ করে দেখতে চাইছে। এই পরীক্ষায় ধরা পড়বে যে, সত্যিই কাউকে গর্ভবতী করার মতো ক্ষমতা অভিযুক্তের রয়েছে কি না। আদালত প্রেমোদয় এবং তাঁর স্ত্রীকে এক দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

বন্ধুর নাবালিকা মেয়েকে ধারাবাহিক ভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে দিল্লি সরকারের নারী এবং শিশু উন্নয়ন দফতরের উচ্চপদে কাজ করা প্রেমোদয়ের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য তাঁকে সাসপেন্ড করে দিল্লির আপ সরকার। ধর্ষণের বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্য ওই আধিকারিকের স্ত্রী ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত করান বলে জানায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্ত এবং তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধী আইন পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। ২০২০ সালে মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুর মেয়েকে দেখাশোনা করার কথা গর্ব করেই প্রকাশ্যে বলতেন ওই সরকারি আধিকারিক। মেয়েটির অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটানা তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন অভিযুক্ত। তার পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি স্ত্রীর কাছে কবুল করেন তিনি। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে নাবালিকা জানিয়েছে, ওষুধ এনে বাড়িতেই তার গর্ভপাত করান অভিযুক্তের স্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement