শশী তারুরের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা। —ফাইল চিত্র
তিরিশ বছর আগে লেখা বই ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল’। আর তা নিয়েই এ বার বিপাকে পড়লেন সদ্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। শনিবার ওই উপন্যাসটির বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না শশী। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছে তিরুঅনন্তপুরমের একটি আদালত। আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা আবেদনও করতে চলেছেন শশী।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হওয়া শশী তারুরের উপন্যাস ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল’কে কেন্দ্র করে। ওই উপন্যাসে ‘মহাভারত’-এর চরিত্রগুলিকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও তৎপরবর্তী সময়ে তুলে আনা হয়েছে। তার সঙ্গে মিশেছে তীব্র ব্যঙ্গও। আর তা নিয়েই আদালতে মামলা ঠুকেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, তারুরের ওই উপন্যাসে হিন্দু নারীদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। শনিবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ওই মামলারই প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু, তাতে উপস্থিত ছিলেন না শশী।
শশী তারুরের দফতরের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই আমরা জানতে পেরেছি যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’ কিন্তু, কেন আদালতের সমন উপেক্ষা করলেন কংগ্রেস সাংসদ? বিবৃতিতে দাবি করেছে, ‘ওই সমন আগে পেলেও তাতে উপস্থিত হওয়ার সময় লেখা ছিল কিন্তু, তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না।’ আরও বলা হয়েছে, ‘সমনে তারিখের উল্লেখ না থাকার বিষয়টি শশী তারুরের আইনজীবী আদালতের নজরে আনেন এবং আমাদের বলা হয়েছিল, তারিখ দিয়ে নতুন করে সমন পাঠানো হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। বিষয়টি আগামী সোমবার আদালতের নজরে আনা হবে এবং তার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘মেরে ফেল সবক’টাকে,’ শুনেই ট্রিগারে চাপ, যোগী-রাজ্যে পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে
আরও পড়ুন: বিয়ের নামে দেদার নারীপাচার চিনে, বেজিংয়ের সঙ্গে ভাব রাখতে মুখে কুলুপ পাক সরকারের
ইংরেজি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছরই সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন শশী তারুর। ‘অ্যান এরা অফ ডার্কনেস: দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার ইন ইন্ডিয়া’-এর জন্য ওই পুরস্কার পান তিনি। ব্রিটিশ শাসনে কী ভাবে দেশবাসীকে ভুগতে হয়েছিল, কী ভাবে ব্রিটিশরা শোষণ চালিয়েছিল তারই বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে ওই বইটিতে।