প্রতীকী ছবি।
রাজধানীর রাজপথে সেনাবাহিনীর এক মেজরের স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ। শনিবার দুপুরে দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের কাছে রাস্তার উপ মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে মনে করা হলেও গলা কাটা থাকায় খুন বলে সন্দেহ হয় পুলিশের।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, খুনের পর খুনিরাই গাড়ি চাপা দিয়ে দিয়েছে অথবা রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় অন্য গাড়ি চাপা দিয়েছে। পাশাপাশি খুনি ওই মহিলার পূর্ব পরিচিত বলেও মনে করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমূনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। খুনির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল দশটা নাগাদ সেনাবাহিনীরই একটি গাড়িতে ফিজিওথেরাপির জন্য সেনা হাসপাতালে যান বছর তিরিশের ওই মহিলা। ড্রাইভার তাঁকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর দুপুর একটা নাগাদ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পরে বিকেল চারটে নাগাদ ওই মহিলার স্বামী মেজর থানায় মিসিং ডায়েরি করতে গেলে তাঁর পরিচয় জানা যায়। এদিকে ওই ড্রাইভার পরে মহিলাকে আনতে গেলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে জানানো হয়, তিনি ফিজিওথেরাপিই করেননি।
আরও পড়ুন:
গায়ের রং নিয়ে খোঁটা! ডালে বিষ মিশিয়ে পাঁচ জনকে মারল বধূ
শরীর দিলে লোন পাইয়ে দেবেন, অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার
কিন্তু কেন খুন করা হল বছর ত্রিশের ওই মহিলাকে?
তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কোনও কারণে ওই মহিলাকে খুন করার সম্ভাবনাই জোরদার হচ্ছে। কেননা ছিনতাই বা ধর্ষণ শ্লীলতাহানির চেষ্টার প্রমাণ মেলেনি। ওই মহিলার টাকা-পয়সা বা গয়নাগাটি, কিছুই খোয়া যায়নি। ধস্তাধস্তির প্রমাণও মেলেনি। খুনি মহিলার পূর্ব পরিচিত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, ওই মহিলা এবং খুনি একই গাড়িতে ছিলেন। খুনের পর তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, একজনকে ইতিমধ্যেই খুনি হিসাবে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন চত্বর রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ এলাকা বলেই মনে করে পুলিশ এবং দিল্লিবাসী। এ হেন নিরাপদ স্থানেই ভর দুপুরে এভাবে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজধানীতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।