প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় পাকিস্তানকে এক হাত নিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় শ্রীনগরে চলল জঙ্গি হামলা।
আজ সকালে শ্রীনগরের নওহাট্টা এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে সিআরপিএফের এক অফিসারের। খতম দুই জঙ্গিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল ৮ নাগাদ সিআরপিএফ জওয়ানরা নওহাট্টার আশপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই তিন দিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে জঙ্গিরা আশপাশের বাড়িগুলিতে ঢুকে গা ঢাকা দেয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর আশঙ্কা, ওই জঙ্গি দলটির দুই সদস্য পালিয়েছে। তাদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এ দিনের হামলা চালিয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জঙ্গি হামলায় প্রমোদ কুমার নামে এক অফিসার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পটনার বাসিন্দা ওই অফিসার ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে শ্রীনগরে রয়েছেন। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক পুলিশ অফিসার এবং আট সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁদের তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসার জন্য তাঁদের দিল্লি
পাঠানো হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেই নওহাট্টা বক্সী স্টেডিয়াম থেকে খুব একটা দূরে নয়। আর ওই স্টেডিয়ামেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
শ্রীনগরে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্কবার্তা ছিল। সে কারণে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছিল। অন্য দিকে, এ দিনই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করেছে সেনাবাহিনী। আজ সকালেই উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা
জেলার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে কিছু সন্দেহভাজন লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। এর পর সেই অনুপ্রবেশকারীরা জওয়ানদের লক্ষ করে গুলি চালায়। সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। সেখানেও নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি।