উপেন্দ্র ও শত্রুঘ্ন কি বিজেপি সঙ্গ ছাড়ছেন, জল্পনা

দিল্লির এইমসে ভর্তি আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিহারের লোকসমতা পার্টির প্রধান উপেন্দ্র কুশহওয়া। গত কাল দেখা করার সেই ছবি উপেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

দিল্লির এইমসে ভর্তি আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিহারের লোকসমতা পার্টির প্রধান উপেন্দ্র কুশহওয়া। গত কাল দেখা করার সেই ছবি উপেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। সম্প্রতি এনডিএ ছেড়ে ইউপিএতে সামিল হয়েছেন হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি। নীতীশ কুমারের সঙ্গে উপেন্দ্রর সম্পর্ক সরল নয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁর লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করা জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।

Advertisement

যদিও সেই জল্পনায় এখনই কান দিতে নারাজ উপেন্দ্র। তিনি এ দিন ফোনে বলেন, “এটা একেবারেই সৌজন্য-সাক্ষাৎ। উনি অসুস্থ, তাই খবর নিতে গিয়েছিলাম।” রাজনীতিতে এ ধরনের সৌজন্য-সাক্ষাৎ থেকেই কার্যত নতুন অধ্যায় শুরু হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই উপেন্দ্রের এনডিএ ছাড়ার সম্ভবনা এই সাক্ষাতে বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই নেতার সাক্ষাতের প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “নীতীশ চাচা ছাড়া সকলেই আমাদের জোটে স্বাগত।”

অন্য দিকে, দলের মধ্যে নিয়মিত অবহেলার স্বীকার পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। শত্রুঘ্ন বলেন, “অন্য দলের কাছ থেকে আমার কাছে প্রস্তাব আছে। তবে আমি অন্য দলে থেকে লড়াই করি বা বিজেপি থেকে করি, কিংবা নির্দল হিসেবেই করি, তাতে কোনও কিছুই বদলাবে না।” সূত্রের মতে নিয়মিত দলের লাইনের বিরুদ্ধে বলার পরেও শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি। উল্টে তাঁকে নিয়মিত অবহেলা করা হয়েছে। সে কারণেই এ বার চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্ত নিতে চান বিহারিবাবু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement