জয়ললিতার চিকিৎসা চলাকালীন কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করার অভিযোগও ছিল অ্যাপোলো হাসপতালের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
জয়ললিতার মৃত্যু স্বাভাবিক কি না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে শুরু হয়েছিল মৃত্যুর তদন্ত। বিশেষ করে তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ার মৃত্যুতে হাসপাতালের ভূমিকা কী, সে ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। মৃত্যুর আগে চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাপোলোয় চিকিৎসাধীন ছিলেন তামিলনাড়ুর ‘জয়া আম্মা’। রবিবার সেই অ্যাপোলো হাসপাতালকে জয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে ‘ক্লিন চিট’ দিল এমস।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এমসের চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার চিকিৎসা পদ্ধতি খতিয়ে দেখার জন্য। এ ব্যাপারে তামিলনাড়ু সরকার যে তদন্ত কমিশন তৈরি করেছিল, রবিবার একটি রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, অ্যাপোলোর চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনও ত্রুটি ছিল না। যদিও তামিলনাড়ুর এক কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, এমস এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করেছে মেনে নিয়েও জানতে চাই জয়ললিতা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই ওঁর ঘরের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেন?
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় জয়ললিতার। তার পর তাঁর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ঝড় ওঠে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে। শেষে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে সরকার জয়ার মৃত্যুর তদন্তের জন্য গঠন করে আরুমুঘাস্বামী কমিশন। যাকে সাহায্য করার জন্যই সুপ্রিম কোর্টের ওই প্যানেল তৈরি করা হয়।
২০১৭ সালে ওই প্যানেল তৈরি হওয়ার দু’বছর পর ২০১৯ সালে তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতাল। তারা তাদের আর্জিতে জানিয়েছিল, কমিশনের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট। তাই তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। হাই কোর্টে সেই আর্জি খারিজ হলে সুপ্রিম কোর্টে যান অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার পরই সুপ্রিম কোর্টকে এমসকে নির্দেশ দেয় একটি চিকিৎসক প্যানেল তৈরি করে জয়ললিতার চিকিৎসার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। যার রিপোর্ট রবিবার দিল এমস।