পৃথক জেলা নিয়ে আনোয়ারের প্রশ্ন

২৭ বছর আগে পৃথক জেলার স্বীকৃতি পেয়েছে হাইলাকান্দি। আজও জেলা প্রশাসন পরিচালনার জন্য তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কোনও পদ তৈরি হয়নি। মহকুমা থাকার সময় যে কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছিল, বর্তমানে জেলা প্রশাসন চলছে তাঁদের দিয়েই। এর দরুন কাজে গতি আসছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২১
Share:

২৭ বছর আগে পৃথক জেলার স্বীকৃতি পেয়েছে হাইলাকান্দি। আজও জেলা প্রশাসন পরিচালনার জন্য তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কোনও পদ তৈরি হয়নি। মহকুমা থাকার সময় যে কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছিল, বর্তমানে জেলা প্রশাসন চলছে তাঁদের দিয়েই। এর দরুন কাজে গতি আসছে না। দু্র্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

Advertisement

আজ বিধানসভা অধিবেশনে এ নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর। লিখিত প্রশ্নে তিনি বলেন— হাইলাকান্দি আগে ছিল কাছাড়ের একটি মহকুমা। ১৯৮৯ সালে সেটি পৃথক জেলার স্বীকৃতি পায়। কিন্তু জেলা প্রশাসন পরিচালনার জন্য যে অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন, সে দিকে কারও খেয়াল হল না। তিনি জানতে চান, এটি যে কাছাড়ের মহকুমা ছিল, পরে জেলা হয়েছে, তা সরকারের জানা রয়েছে কি না। তিনি অভিযোগ করেন, হাইলাকান্দির পর যে সব নতুন জেলা তৈরি হয়েছে, সেগুলিতে নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। লোক নিয়োগ করা হয়েছে।

রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন দফতর এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হাতে রয়েছে। তাঁর হয়ে আজ লিখিত ভাবে জবাব দিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। তিনি জানান, কাছাড়ের মহকুমা থেকে হাইলাকান্দি যে ২৭ বছর আগে পৃথক জেলা হয়েছে, তা সরকারের জানা রয়েছে। তবে একথা সত্যি, এত দিনেও জেলা প্রশাসন পরিচালনার জন্য কোনও নতুন পদ সেখানে তৈরি হয়নি। হয়নি অতিরিক্ত লোকনিয়োগও। মহকুমা থাকাকালীন কর্মচারী দিয়েই চলছে জেলা প্রশাসন। তিনি আশ্বস্ত করেন, শীঘ্র নতুন পদ সৃষ্টি করে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করা হবে। মন্ত্রী আরও জানান, অন্যান্য জেলাতেও জেলাশাসকের অফিসে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বহু পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। তাঁরা সে সব শূন্য পদ পূরণের চেষ্টা করছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement