কুমারস্বামীর শপথে উপস্থিত নেতা নেত্রীরা।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানের মূল সুরটা যেন বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। দু’জনের মধ্যে যে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে কথা হয়েছে, তা মমতার কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। চন্দ্রবাবুকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘হম সে যো টকরায়েগা, চুর-চুর হো যায়েগা।
এ কী শুধুমাত্র কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান? নাকি শপথকে সামনে রেখে বিজেপি-বিরোধী জোটকে দাঁড় করানোর মরিয়া চেষ্টা? বুধবার তখন বেলা সাড়ে চারটার সামান্য বেশি। কর্নাটক বিধানসভা ভবনে যখন ‘নিরপেক্ষ ভাবে’ মুখ্যমন্ত্রী পদের কার্যভার পালনের অঙ্গীকার করলেন এইচ ডি কুমারস্বামী, সেই সময় অতিথিদের আসনে দেখা গেল দেশের ডাকসাইটে সব বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীদের। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, অরবিন্দ কেজরীবাল, চন্দ্রবাবু নাইডু, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং আরও কত মুখ।
ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিয়েছিলেন গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ নিতে আগে কখনও দেখেনি কর্নাটক। কর্নাটকে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর। শপথের আগে এ দিন চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যান কুমারস্বামী। ক্ষমতায় এসেই তিনি কৃষকদের ঋণ মকুব করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বেঙ্গালুরুতে কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানের আগে বৈঠক মমতা ও নাইডুর।
গতকাল রাতেই বেঙ্গলুরু এসে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সার্কিট হাউসে উঠেছেন। রাতেই কুমারস্বামীর সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছে মমতার। মনে করা হচ্ছে, বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আজ তিনি বিজেপি-বিরোধী জোট নিয়ে কথা বলতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার ফেডারেল ফ্রন্টের কথা বললেও, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে জোটে যেতে তাঁর আপত্তি রয়েছে। একই অবস্থানে রয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। কংগ্রেসের ছোঁয়া এড়ানোর জন্য গতকালই বেঙ্গালুরুতে এসে তিনি কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। শপথে তিনি থাকবেন না বলেই খবর।
আরও খবর: এক মুখ্যমন্ত্রীর শপথই যুদ্ধের মঞ্চ ’১৯-এর
আরও খবর: এ কেমন পোশাক! আমেরিকায় স্কুলে হেনস্থা করা হল ছাত্রীকে
অন্য দিকে, কংগ্রেস ছাড়া যে বিজেপি বিরোধী জোট হওয়া সম্ভব নয়, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জেডি(এস) নেতা দেবগৌড়া। কংগ্রেস চাইছে, কর্নাটকের জোটকে জাতীয় রাজনীতিতে টেনে নিয়ে যেতে। সেজন্য কর্নাটক মন্ত্রিসভা নিয়ে দর কষাকষিতে যেতে তারা রাজি নয়। জেডি(এস)-এর দাবি কুমারস্বামীর শপথ অন্যমাত্রা নেবে। হয়তো তা বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোকে নিয়ে আসবে এক মঞ্চে।