(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনায় মৃত যুবক ও ঘাতক গাড়ি (ডান দিকে) ছবি: এক্স।
মুম্বইয়ের রাস্তায় ফের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরে মৃত্যু এক ব্যক্তির। চাপা দিয়ে ঘাতক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। চলতি মাসে মুম্বই শহরে এই নিয়ে তৃতীয় এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এল। পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ওরলি এলাকায় গত ২০ জুলাই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। বিনোদ লাড নামে বছর আঠাশের এক যুবককে ধাক্কা মেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ঘাতক বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক। দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহ হাসপাতালে যমে-মানুষে লড়াই। শেষে গত ২৭ জুলাই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার দিন অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বিনোদ। বাইকে চেপে রাস্তার ধার দিয়ে আসছিলেন। সেই সময়েই দ্রুত গতির একটি বিএমডাব্লু গাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে বিনোদের বাইকে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন বিনোদ। গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে রাস্তার উপর ফেলে রেখেই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ঘাতক গাড়ির চালক। স্থানীয় বাসিন্দারাই বিনোদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিনোদের।
পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং ঘাতক গাড়ির খোঁজ শুরু হয়। কিরণ ইন্দুলকর নামে ওই বিএমডব্লিউয়ের চালককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠে এল মুম্বই শহর থেকে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ৭ জুলাই। ওরলিতেই একটি বিএমডাব্লিউয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। গুরুতর আহত হন তাঁর স্বামী। সে দিন ওই ঘাতক গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন শিব সেনা নেতা রাজেশ শাহের ছেলে মিহির শাহ। দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল ২২ জুলাই। দ্রুত গতির একটি অডি ধাক্কা মেরেছিল দু’টি অটোকে। দুর্ঘটনায় দুই অটো রিকশারই চালক ও দুই যাত্রী আহত হয়েছিলেন।