প্রতীকী ছবি।
অসমে পুলিশের গুলিতে অপরাধীদের মৃত্যু ও জখম হওয়ার ধারা বজায় রেখে গত কাল রাতে চিরাং জেলায় কাছদহ এলাকায় আব্দুল খালেক নামে এক অপরাধীকে গুলি করে মারল পুলিশ। ডিব্রুগড়ে পুলিশের গুলিতে জখম হল মহম্মদ আখতার রাজা খান নামে গরু চোর।
চিরাং পুলিশ জানায়, ৬ জুলাই বিজনি থানায় কর্মরত হোমগার্ড ইয়াৎ আলি খুন হন। তদন্তে নেমে পুলিশ হোমগার্ডের আত্মীয় সফিউর রহমানকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে দেড় লক্ষ টাকায় দুই সুপারি কিলারকে দিয়ে ওই হোমগার্ডকে খুন করা হয়। পুলিশ গত রাতে হত্যাকারী আব্দুল খালেক ও আয়ুব আলিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, হত্যায় ব্যবহৃত দা সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময়ে আব্দুল এসডিপিও-র পিস্তল কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
গত কাল ডিব্রুগড় পুলিশ তিন গরু চোরকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের দাবি, তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজা খান পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। কামরূপের হাজোতে জাকির আলি ও ফজল হক নামে দুই ডাকাতকে গত কাল গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, চকামতলি এলাকায় তারা পালানোর চেষ্টা করে। দু’জনকেই গুলি করা হয়। তারা গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিজিৎ মজুমদারের প্রশ্ন, পুলিশ কেন অপরাধীদের নিয়ে যাওয়ার সময় সতর্ক হচ্ছে না? কী ভাবে পুলিশকর্মীদের রাইফেল-রিভলভার ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ধৃতরা? ধৃতেরা পালানোর চেষ্টা করলে সরাসরি গুলি করতে হচ্ছে কেন? বিরোধীদের দাবি পুলিশকে গুলি করার ছাড়পত্র দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিতে বিপরীত করছেন।